আমাদের ভারত, ১১ ফেব্রুয়ারি: সোমবারেই সন্দেশখালি যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রবিবার এমনটাই জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে। রাজভবন সূত্রে খবর, সন্দেশখালির ঘটনা প্রবাহ নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
শনিবার রাতে কড়া বিবৃতি দিয়েছিলেন বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল এখন কেরলে রয়েছেন। সেখানে বাঙালিদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সন্দেশখালির পরিস্থিতি যেদিকে গড়িয়েছে তাতে তিনি কেরলের সফর কাটছাঁট করে রাজ্যে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সূত্রের খবর, সোমবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁর নামার কথা। তারপর সেখান থেকেই সোজা সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন রাজ্যপাল।
সম্প্রতি সেখানে যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে সে ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে সবিস্তারে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গেও। সন্দেশখালির ঘটনাবলী নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনারের আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে।
সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্যপাল ও রাজ্য প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াতে শনিবার দুপুরে বিধানসভা থেকে রাজভবন পর্যন্ত মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে ধর্নায় বসে রাজ্যপালকে সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি। বাম আমলে নন্দীগ্রামের সঙ্গে এখানকার সন্দেশখালির তুলনা টানেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, নন্দীগ্রামের সিপিএমের মতো এলাকা দখলের জন্য পুলিশ ও তৃণমূল বাহিনী হাত মিলিয়েছে। বিরোধী দলনেতা বলেন, আমরা রাজ্যপালকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্দেশখালিতে যেতে অনুরোধ করছি। রাজ্যপাল যদি পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারেন তাহলে ১৪৪ ধারা থাকলেও সোমবার বিধায়কদের নিয়ে আমরা যাব।
এরপরই বিবৃতি দিয়ে রাজ্যপাল বলেন, সন্দেশখালিতে গুন্ডারাজ চলছে। সরকারি রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যপালের কথায় খুব খারাপ ঘটনা ঘটেছে সন্দেশখালিতে। নারীদের হেনস্থা করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে। গুন্ডারাজ চলছে ওখানে। যখন গুন্ডারা আইন হাতে তুলে নেয়, সেটা নাগরিক সমাজের পক্ষে বিপদ সংকেত, এটা দ্রুত বন্ধ করার দায়িত্ব সরকারের। সরকারের উচিত শক্ত হাতে সদর্থক ভাবে পদক্ষেপ করা। আসুন সবাই মিলে এটার বিরুদ্ধে লড়াই করি। বাংলা শান্তির জায়গা, আমাদের সবাইকে এক হয়ে বাংলার কিছু জায়গায় চলা অনৈতিক খেলাটাকে শেষ করতে হবে।