আমাদের ভারত, ২৩ নভেম্বর:তীব্র বিতর্কের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হলো কেরলের বাম সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন এখনই সংশোধিত কেরল পুলিশ আইন কার্যকর করা হবে না। আগে বিধানসভা অধিবেশনে এই আইন কার্যকর করার বিষয়ে আলোচনা হবে। এই আইন কার্যকর করা নিয়ে রবিবার কেরলের রাজনীতি তোলপাড় হয়ে যায়।
কেরলের বাম সরকার একটি অধ্যাদেশ’ জারি করে জানায়, কেরল পুলিশ আইন সংশোধিত করা হয়েছে। সংশোধিত আইনে বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ যদি আপত্তিকর পোস্ট করেন তাহলে তার পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল আর ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। একইসঙ্গে বলা হয় যে কোনো পোস্ট সম্পর্কে যে কেউ মামলা করতে পারেন।এমনকি পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে।
এরপরই শুরু হয় প্রতিবাদ। অনেকেই বলেন এই আইন বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের সমান। কেউ বলেন এই আইন কার্যকর হলে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাতেও এইভাবে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা হতে পারে। প্রগতিশীলর এর বিরুদ্ধে সরব হন। বামপন্থীদের মধ্যেও বিভ্রান্তি তৈরি হয়। অনেক বামনেতাই নাকি নিজেদের ঘনিষ্ঠমহলে বলেন যে এই আইন যদি উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার বা মধ্যপ্রদেশের চৌহান সরকার আনে তাহলে প্রতিবাদ করার মুখ থাকবে না।
এছাড়াও বিধানসভায় আলোচনা না করে অর্ডিন্যান্স জারি করে এই ধরনের স্পর্শকাতর’বিষয়ে আইন তৈরি করা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। সমালোচকরা বলেন এটি আসলে সিপিএমের দ্বিচারিতা। কারণ কৃষি আইন চালু করার সময় সিতারাম ইয়েচুরি মোদী সরকারকে কটাক্ষ করে বলেছিল এরা গণতন্ত্রকে ভয় পায় বলে সংসদ ভবনকে বাইপাস করে রাতের অন্ধকারে আইন করছে। কিন্তু ঠিক একই কাজ করল কেরল সরকারও। তরুণ প্রজন্মএই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়া সোচ্চার হয়। এতো সমালোচনায় শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয় বিজয়ন সরকার।