পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ ফেব্রুয়ারি: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নান্দাড়িয়া শাস্ত্রী স্মৃতি বিদ্যাপীঠের এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মিঠু রায়ের বিয়ে রুখে দিল বিদ্যালয়ের কন্যাশ্রী ক্লাব এবং ব্লক ও জেলা প্রশাসন। মিঠুর আপত্তি স্বত্বেও মাধ্যমিক শেষ হবার পরই মেয়ের বিয়ে দিতে উদ্যোগী হন মিঠুর পরিবারের লোকেরা। মঙ্গলবার ছিল বিয়ের দিন। নিজে থেকে বিয়ে না আটকাতে পেরে নানা প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে শেষমেষ বিদ্যালয়ের কন্যাশ্রী ক্লাব ‘স্বয়ংসিদ্ধা’র বান্ধবীদের মাধমে ফোন মারফৎ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুদ্ধোদেব চ্যাটার্জির দ্বারস্থ হয় মিঠু।
খবর পেয়েই তৎপর হয়ে ওঠেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুদ্ধোদেব চ্যাটার্জি সহ অন্যান্য শিক্ষক- শিক্ষিকারা। বিদ্যালয়ের তরফে খবর পাঠানো হয় পুলিশ, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে। তৎপরতা দেখানো হয় প্রশাসনের পক্ষেও। কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যাদের সাথে নিয়ে শালবনী ব্লকের সৈয়দপুর এলাকার বেনাচাপড়া গ্রামে ছাত্রীটির বাড়িতে ছুটে যান প্রধান শিক্ষক শুদ্ধোদেব চ্যাটার্জি, সহ-প্রধান শিক্ষক অমিয় কুমার মোহান্ত, শিক্ষক অভিষেক দে, শিক্ষিকা দীপান্বিতা ঘোষ, ইন্দ্রানী দাস, সুস্মিতা সেন, নবমিতা দাস, মৌসুমী সাহু, মৌমিতা পাল, সুচিস্মিতা আদক সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
ছাত্রীটির বাড়িতে পৌঁছে যান প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় মেয়েটির বিয়ে বন্ধ হয়। মিঠুর বাড়ির লোকেরা কথা দেন মেয়ে সাবালিকা না হলে আর বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। মিঠু জানায়, সে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেন একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে মিঠুর পড়াশোনার সমস্ত দায়িত্ব বিদ্যালয় গ্রহণ করবে।