সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৫ অক্টোবর: পুজোয় অসহায় দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টা এক মানবদরদীর। গঙ্গাজলঘাঁটির বাসিন্দা কামাক্ষ্যা নন্দী প্রতিবছর দুর্গা পুজো উপলক্ষে এলাকার বিভিন্ন গ্রামের দুঃস্থ পরিবারের হাতে নতুন জামাকাপড় তুলে দেন। কোনও রকম প্রচার বা কাউকে না জানিয়ে তিনি নিশ্চুপভাবে এই কাজ করেন।
কামাক্ষ্যাবাবু গ্রামে গ্রামে গিয়ে অসহায় পরিবারের হাতে তুলে দেন নতুন বস্ত্র। তারাও আনন্দ মনে শারদোৎসবের দান গ্রহণ করে তাকে আশীর্বাদ জানান। এবছর তিনি প্রায় ২৫০ মানুষের হাতে নতুন জামাকাপড় তুলে দিলেন। এই ব্যতিক্রমী দান বর্তমান সময়ে অত্যন্ত বিরল।
বর্তমানে দেখা যায় অনুষ্ঠান, প্রচারের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন ক্লাব এবং বহু পুজো কমিটি শারদোৎসবের প্রাক্কালে বস্ত্রদান করেন। এই বস্ত্রদান উপলক্ষে পূণ্য অর্জনে সংশ্লিষ্ট কমিটি এলাকার গরিব মানুষগুলিকে জড়ো করে মঞ্চ বেঁধে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বস্ত্র দান করার ফলে তাদের দারিদ্র্যতার কথা প্রকাশ্যে এসে পড়ে। অসহায় মানুষটি তার বুকের যন্ত্রণা চেপে রেখে সকলের সামনে জোড়হাতে গ্রহণ করেন লজ্জা নিবারনের বস্ত্র। কামাক্ষ্যাবাবুর মতে কোনো মানুষের অসহায়তাকে পণ্য করে পূণ্যলাভ করা যায় না। বরং এটা মনুষ্যত্বের অপমান।
কামাক্ষ্যা নন্দী মেজিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পের সামান্য মাস মাইনের কর্মী। সংসার খরচের টাকা বাঁচিয়ে তিনি এই মানুষগুলির মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেন। প্রচার বিমুখ এই মানুষটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাচ্চাদের হাতে জামা প্যান্ট, বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের কারো হাতে লুঙ্গি বা ধুতি, কারো হাতে শাড়ি তুলে দেন।