Sukanta, BJP, অভিষেক অনুগামীকে প্রকাশ্যে তীব্র আক্রমণ কল্যাণের, সুকান্ত বললেন বিনোদনের উপাদান দিচ্ছে তৃণমূল

আমাদের ভারত, ১৮ নভেম্বর: একেবারে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রাজ্যের শাসক দলের প্রকাশ্যে এই কাদা ছোড়াছুড়িকে বিনোদন বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দাবি করেছেন, অভিষেক ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই তৃণাঙ্কুরকে নিশানা করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরফলে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব রোজ জনসমক্ষে চলে আসছে। তাঁর কথায়, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন খোদ লোকসভায় তৃণমূলের চিপ হুইপ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এখন অভিষেক পন্থী। যে কোনো বয়েসের তৃণমূল নেতাকেই আক্রমণ শানাতে ব্যস্ত। কারণ সংসদে সংঘাতের পরে বিদ্রোহী তৃণমূল সাংসদ এখন ফুল ফর্মে আছেন। তিনি এখন স্থানীয় মঞ্চ থেকে রোজ সরব হচ্ছেন। তিনি লিখেছেন, ধীরে ধীরে যুদ্ধ মেঘের আড়ালে শেষ হয়ে এবার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাই বাংলায় ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসে এখন প্রায় প্রতিদিনই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, “এটা সত্যিই বিনোদনমূলক…।”

প্রসঙ্গত, শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ডোমজুড় উৎসবের প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে তৃণাঙ্কুরকে নিশানা দাগেন। আর জি কর কান্ডের সময় থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত হয়ে যেসব মেডিকেল পড়ুয়া সাসপেন্ড হয়েছিলেন তাদের নিয়ে কিছু না বলার জেরেই তৃণাঙ্কুরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন কল্যাণ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এমন ছাত্র সভাপতি থেকে লাভ কি?

আর জি কর কাণ্ডের পর বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছে। থ্রেট কালচারে অভিযুক্তদের সাসপেন্ডও করা হয়। সাসপেন্ড হওয়া পড়ুয়ারা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করা হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে যে বৈঠক হয়েছিল সেখানে অনিকেত মাহাতোরাও এই নিয়ে সরব হয়েছেন। সাসপেন্ড হওয়া মেডিকেল পড়ুয়াদের পাশে দল দাঁড়ায়নি। এই নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, টিএমসিপির এতগুলো ছেলে সাসপেন্ড হয়ে গেল আর টিএমসিপি সভাপতির মুখ থেকে কোনো কথা নেই। অবিশ্বাস্য! আমি ভাবতে পারছি না। কার আশীর্বাদের হাত এর মাথায় আছে? যে এখনো তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি থাকে।

তৃণাঙ্কুরকে পদ থেকে সরানোর দাবি তুলেছেন কল্যাণ। তিনি ছাত্র পরিষদ সংগঠনের কাজ করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন বর্ষীয়ান সাংসদ। রাজ্যে শীঘ্রই কলেজগুলোতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হতে পারে বলে কানা ঘুষো শোনা যাচ্ছে। তার আগে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সভাপতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কল্যাণ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। টিএমসিপি সভাপতির কাজ তাকে এবং কুণালকে করতে হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কল্যাণ। তিনি বলেন বাচ্চা বাচ্চা ছেলে মেয়েগুলোর পাশে কেউ নেই। তারা আসছে আমার কাছে, কিন্তু আমি দলের কোনো কর্মীর ওপর অন্যায় হতে দেব না। আর কল্যাণের এই বক্তব্যকেই হাতিয়ার করে কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। কারণ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি‌ যে অভিষেকের বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী তার দলের মধ্যে সকলেরই জানা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *