আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ৯ জানুয়ারি:
মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহুরু হাইস্কুল মাঠে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে একদিকে যেমন এই জেলার বহু প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী, তেমনি বহু প্রকল্পের শিলান্যাসও করেন তিনি। পাশাপাশি এদিনও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে আরও একবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আবারও আক্রমণ করেন তিনি।
এদিন বক্তব্যের প্রথমেই জয়নগরে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে মোয়া হাব তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনের মধু জিআই ট্যাগ পেয়েছে। সমস্ত মধু সংগ্রহকারীদের অভিনন্দন। আজ সাতশো কোটি টাকার নতুন প্রজেক্ট দেওয়া হচ্ছে এই জেলায়।
৭৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং বহু প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়েছে।” পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “কেন্দ্রের কাছে ২৯ হাজার কোটি টাকা পাই, দেয় না। শুধু ভোটের সময় ভোট করতে আসে আর ধর্মে ধর্মে ভেদাভেদ করে। টাকা পেলেই এলাকার মানুষকে ঘর বানিয়ে দেবো। আমরা যা বলি তাই করি। কেন্দ্র থেকে ৭৬টি দল এসেছে কিন্তু তবুও টাকা দিচ্ছে না। আমি নিজে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছি। উনি বলেছেন আধিকারিকদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু এখনও কিছুই করেনি। টাকা দেয় না, লজ্জা করে না?”
তিনি এদিন বলেন, এই জেলায় ৪৫ হাজার ছাত্রী কন্যাশ্রী পেয়েছে। ৩৯ হাজার ছাত্রী সবুজ সাথী পেয়েছে। ৬৭ হাজার মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার পেয়েছে। ২৪ হাজারের বেশি কৃষক বন্ধু পেয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মডেল স্কুল তৈরি হয়েছে। এই জেলায় ২২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীতে ব্রিজ হয়েছে। বাড়ি বাড়ি জল রাজ্য সরকার দিচ্ছে, কেন্দ্র নয়। ২০২৪- এর ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের আওতায় সমস্ত বাড়িতে জল পৌঁছবে জল স্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষের বেশি বাড়িতে জল পৌঁছেছে। এ বছর আরও ১২০০০ কিলোমিটার রাস্তা পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি করা হবে। পশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েদের জন্য আরও বেশ কিছু সরকারি প্রকল্পের কথা বলেন। ১০০ দিনের কাজ কেন্দ্র বন্ধ করে দিলেও আমরা পথশ্রী প্রকল্পের মধ্য দিয়ে সাড়ে আট লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারদের কাজ দেওয়া হবে।

