চিন্ময় ভট্টাচার্য, আমাদের ভারত, ১ জুন: করোনা সতর্কতার পরিচয় দিয়ে পঞ্চম দফা লকডাউনের আনলক ওয়ান-এ খুলল না দুটি উল্লেখযোগ্য ধর্মস্থান কালীঘাট মন্দির ও চাকলায় লোকনাথ ব্রহ্মচারীর মন্দির। তারপীঠ মন্দির কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছে, এবছর ১৫ জুনের আগে মন্দির খোলা হবে না। চাকা গড়াবে না মাহেশের রথেরও। এদিন থেকে ধীরে ধীরে লকডাউন উঠে যাওয়ার পথে হাঁটছে দেশ। লকডাউন বিধি বলবৎ থাকলেও অনেকগুলি ক্ষেত্রে শিথিলতা এসেছে। সেই শিথিলতার ক্ষেত্রগুলোর অন্যতম হল ধর্মস্থানের দরজা। ভক্তরা তাই আশা করেছিলেন কালীঘাট মন্দিরের দরজা এদিন খোলা পাবেন।
নতুন বাংলা বছরের শুরুর দিন এবছর বন্ধ ছিল কালীঘাট মন্দিরের দরজা। এদিন এই মন্দিরের দরজা খোলা নিয়ে তাই ভক্তদের আগ্রহ ছিল অন্যদিনের চেয়ে ঢের বেশি। কিন্তু গর্ভগৃহে পুণ্যার্থীদের প্রবেশ না-করিয়ে বন্ধ দরজার এপার থেকেই রীতি মেনে পুজো সেরেছেন পূজারী। মন্দির চত্বরে যে ফুল ও পেঁড়ার দোকানগুলি রয়েছে, এদিন তা অধিকাংশ ছিল বন্ধ। চারিদিক ছিল শুনসান, স্তব্ধ। সূত্রের খবর, আরও অন্তত ১৫ দিন না-কাটলে মন্দিরের গর্ভগৃহের দরজা খুলতে নারাজ কালীঘাট মন্দির কর্তৃপক্ষ। শুধু কালীঘাট মন্দিরই নয়, বেলুড়মঠের দরজাও এখনই খুলছে না।
এবার শুধু কালীঘাটে নিত্যপুজোয় নয়, লোকনাথ বাবার তিরোধান দিবসের রীতি-অনুষ্ঠানেও ছেদ ঘটাচ্ছে করোনা। মঙ্গলবার, ২ জুন লোকনাথ বাবার ১৩০তম তিরোধান দিবস। প্রতিবার এই দিনটি আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করা হয় লোকনাথ ব্রহ্মচারীর জন্মস্থান চাকলায়। কিন্তু অন্যান্য উৎসবের মত এবছর চাকলার অনুষ্ঠানেও ছেদ ঘটাচ্ছে করোনা। ভক্ত সমাগমের কথা স্মরণ করে সংক্রমণের আশঙ্কায় অনুষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী সেবাশ্রম সঙ্ঘ কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছেন সঙ্ঘের চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ সরকার। এমনকী মন্দিরের দ্বারও বন্ধ থাকছে। ১৫ দিন বাদে অবস্থা কেমন থাকে তা দেখেই মন্দির খোলার দিন স্থির করা হবে বলে জানিয়েছেন দেবপ্রসাদবাবু।