স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ২৪ নভেম্বর: এক গৃহবধূকে ধর্ষন করে খুন করার প্রতিবাদে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জ ব্লক বনধের ডাক দেয় বিজেপি। বিজেপির ডাকা এই বনধকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় কালিয়াগঞ্জ শহরে। বনধের সমর্থনে মিছিল ও জোর করে বনধ পালন করার জন্য বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা কর্মী সমর্থককে গ্রেফতার করে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশের সাথে বনধ সমর্থকদের ধস্তাধস্তিও হয়। বনধে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। শহর জুড়ে ব্যাপক পুলিশী টহলদারি ও জনজীবন স্বাভানিক রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গত ৪ নভেম্বর রাতে কালিয়াগঞ্জ থানার নসিরহাট এলাকায় জয়ন্তী দাস নামে এক গৃহবধূর গলায় ফাঁস লাগানো দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, তার স্বামী বাড়িতে মদের আসর বসিয়ে তাকে গণধর্ষন করে হত্যা করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এই অভিযোগে মৃতার পরিবারের লোকেরা স্বামী উজ্বল সরকার এবং শাশুড়ি হিমা সরকারকে মারধর করে। এছাড়া তাদের বাড়ি ভাঙ্গচুর করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিজেপি সমর্থকরা বালুরঘাট–রায়গঞ্জ রোড অবরোধ করেছিল। পুলিশ গিয়ে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নিয়েছিল।

পুলিশ এই ঘটনায় মৃত্যার স্বামী এবং শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু পুলিশের হেফাজতে থাকা তৃণমূল আশ্রিত ওই দুজন পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও আত্মহত্যা বলে পুলিশ জানিয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিজেপি আন্দোলনে নামে। পুলিশের নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কালিয়াগঞ্জের বিবেকানন্দ মোড়ে গত চারদিন ধরে ধর্না অবস্থান বিক্ষোভও করে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চোধুরী মৃতার পরিবারকে সমবেদনা জানাতেও গিয়েছিলেন।
আজ মঙ্গলবার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে কালিয়াগঞ্জে ১২ ঘন্টার বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। বনধে জনজীবন প্রায় স্বাভাবিক আছে।
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যশপ্রীত সিং বলেন, জোর করে বনধ করার চেষ্টা ও অশান্তি তৈরি করার অপরাধে এদিন ২৩ জন বিজেপি নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। কালিয়াগঞ্জে আর পাঁচটা দিনের মতোই জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে।

