আমাদের ভারত, ৩ মার্চ: রবিবার দুপুরে ছুটির আমেজে থাকা বঙ্গবাসীকে ধামাকা খবর দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ঘোষণা করলেন মঙ্গলবার বিচারপতি পদ থেকে ইস্তাফা দিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেবেন তিনি। আর তারপরেই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন কোন রাজনৈতিক দলে তিনি যোগ দিতে চলেছেন? লোকসভা নির্বাচনেই কি প্রার্থী হচ্ছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?
তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেব, তা এখনই বলছি না। তবে তৃণমূল কংগ্রেসে অবশ্যই যোগ দেবো না। সে প্রশ্নই ওঠে না। বাংলার শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর কথায় ইতিহাসে আমরা মৌর্য সাম্রাজ্য দেখেছি, এখন আমরা চৌর্য সাম্রাজ্য দেখছি।
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্যে তিনটি বিরোধী দল রয়েছে, বিজেপি, সিপিএম আর কংগ্রেস। তাছাড়াও ছোট অনেক রাজনৈতিক দলও রয়েছে। ভেবে দেখব কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারি।
তবে অনেকের মতে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা হয়ে গিয়েছে। এমনকি কোন আসনে তিনি প্রার্থী হবেন যে বিষয়েও কথা হয়েছে। সবটা ঠিক করেই তিনি ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সামগ্রিক বিষয়টা নিশ্চিত করে নিয়েই মাঠে নামছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
যদিও বিচারপতি নিজে বলেছেন, আমি নিজে থেকে কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার কথা বললে অনেককেই ভাবতে পারে ভোটের টিকিট চাইছি। তবে কেউ যদি আমাকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেন তবে ভেবে দেখতে পারি।
একথা শুনেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, আমি ওনাকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। উনি প্রতিবাদী এক চরিত্র। কংগ্রেসের ইতিহাস দেশের ও সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কংগ্রেসে এলে বাংলার রাজনীতির ভালো হবে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে এর আগেও খোলাখুলি প্রস্তাব দিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছিলেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজনীতিতে আসুন। উনি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হন। আমি ওনাকে ভোট দেব।
জানাগেছে যে, রাজ্য বিজেপির বেশ কয়েকজনের সঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ব্যক্তিগত স্তরে যোগাযোগ রাখেন। ফলে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তবে অনেকেই মনে করেন বামপন্থীদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। বিশেষ করে সিপিএমের রাজ্যসভার সংসদ তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।বইমেলায় তাকে সিপিএমের স্টলে যেতে দেখা গিয়েছে। তাতে সিপিএম নেতার সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, বাম আন্দোলনের শামিল হতে চাইলে তাঁকে স্বাগত, তবে ওনার সঙ্গে আমাদের দলের কোনো কথা হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই।
সম্ভবত মঙ্গলবার এই বিষয়ে থাকা সব কৌতুহলের নিরসন ঘটবে। স্পষ্ট হয়ে যাবে কোন দলে তিনি যোগ দিতে চলেছেন।