আমাদের ভারত, ২৭ অক্টোবর: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে ব্যর্থ বলে দাবি করলেন রাজ্য বিজেপির দুই নেতৃত্ব সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের দাবি, জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলনটা শুরু ভালো হলেও শেষটা ভালো নয়।
সুকান্ত মজুমদার গোটা ঘটনার দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে ঠেলে দিয়ে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা হাড়ে হাড়ে চিনি। আগেই বলেছিলাম প্রধান অভিযুক্তর সঙ্গে বৈঠক করছে জুনিয়ার ডাক্তাররা। থ্রেট কালচারের জনক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক ফ্রন্ট সামনে আসবে। গ্রেগ চ্যাপেলের সঙ্গে মমতার তুলনা করে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, মমতার গেমপ্ল্যানেই খেলছেন চিকিৎসকরা। আমার মনে হচ্ছে সাউথ আফ্রিকা হয়ে গেছে ডাক্তারবাবুরা। চোকার্স হয়ে গেছে।”
এদিকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করাই উচিত হয়নি জুনিয়র ডাক্তারদের। অনেকেই ভালোভাবে নেননি আমরণ অনশন প্রত্যাহার করার বিষয়টি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সামনে পরীক্ষা আছে বলে বৈঠকে জুনিয়ার ডাক্তারদের প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই দেখা গেল জুনিয়ার ডাক্তারদের ভিড় পাতলা হয়ে গেল। একই সঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলকে আন্দোলনে শামিল না করে ভুল করেছে জুনিয়র ডাক্তাররা। শুভেন্দু অধিকারীরর কথায় ২৭ আগস্ট নবান্ন অভিযানে না গিয়েও ভুল করেছেন তারা।
এদিকে আমরণ অনশন প্রত্যাহারের পর শনিবার আর জি করে গণ কনভেনশন করেছেন আন্দোলনকারীরা। নির্যাতিতার জন্য বিচারের দাবিতে মশাল মিছিল করেন তারা। সেখান থেকে বুধবার সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, সিজিও কেন ক্ষমতা থাকলে সুপ্রিম কোর্টের সামনে বিক্ষোভ দেখাক।
অন্যদিকে শনিবার আত্মপ্রকাশ করা জুনিয়ার ডাক্তারদের নতুন সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনকে তৃণমূলের শাখা বলে আক্রমণ করেছেন। উভয়েই দীপাবলীর পর রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে গণস্বাক্ষর তুলে দেবেন বলেও জানিয়েছেন তারা।