আমাদের ভারত, ২০ মার্চ: নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য বিশ্বজোড়া খ্যাতি রয়েছে হলিউড ‘সেক্স বোম্ব’ অ্যাঞ্জেলিনা জোলির। নগ্নতার সীমা অতিক্রম করে ছবিতে যৌন মিলনের দৃশ্যেও অভিনয় করতে দেখা গেছে জোলিকে। বয়স ৪০ পেরোলেও শরীরের সেই টানটান ভাব একটুও ম্লান হয়নি। কিন্তু সেই জোলিই নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করতে হবে শুনে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন! তবে, শেষ পর্যন্ত নতুন ছবি ‘বাই দ্য সি’ তে আবারও খোলা শরীর নিয়ে পর্দায় হাজির হয়েছেন এই হলিউড অভিনেত্রী।
ক্যান্সারের সম্ভাবনায় তাঁর স্তন অপসারণ করিয়েছেন। চিকিৎসার পর তসি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়ের কথা শুনে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বখ্যাত এই অভিনেত্রী। অভিনেত্রী জানান, আমি অনুভব করেছিলাম, বাথটবের একটা দৃশ্যে আমাকে নগ্ন হতে হবে। আমি নিজেকে বললাম, মাথা থেকে সবকিছু বের করে দাও…তুমি কোনো দৃশ্য পরিবর্তন করতে পারো না। জোলির পরিচালনায় দ্বিতীয় ছবি ‘বাই দ্য সি’ মুক্তি পেয়েছে কিছুদিন আগে। এই ছবির গল্প রচনা, পরিচালনা এবং অভিনয় করেছেন জোলি নিজেই। বাই দ্য সি ছবিটি জোলি তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন। আর সেই ভাবেই নির্মাণ করছেন এই তারকা। এখানে জোলির বিপরীতে রয়েছেন স্বামী অভিনেতা ব্র্যাড পিট। মূলত সম্পর্কের ছন্দপতন নিয়ে নির্মাণ হচ্ছে এ ছবি। তবে এ ছবির একটি দৃশ্যে দীর্ঘদিন পর পোশাকবিহীন।
ছবির একটি স্নানের দৃশ্য করতে গিয়ে পুরোপুরি নগ্ন জোলিকে রোমান্স করতে দেখা যাবে ব্র্যাড পিটের সঙ্গে। বাই দ্য সি ছবির বাথটব সিন নিয়ে এমন মন্তব্যই শোনা গেছে অস্কার জয়ী অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মুখে। এই কথায় হতচকিত অ্যাঞ্জেলিনা ফ্যানরা। তাদের প্রশ্ন, কেন ভয় পেয়েছিলেন অস্কার জয়ী অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি?
২০১৪ সালে বিয়ে করেন ব্র্যাড পিট ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ায় অপারেশন করে অ্যাঞ্জেলিনার স্তন বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এমন একটা সময় নিজেকে নগ্ন করতে কুণ্ঠিতবোধ হয়েছিল অস্কার জয়ী অভিনেত্রীর। অ্যাঞ্জেলিনার স্বাস্থ্য এবং মনোবল দুই নিয়েই চিন্তিত ছিলেন হলিউডের হার্টথ্রব ব্র্যাড। সেই সময় অ্যাঞ্জেলিনার পাশে দাঁড়ান ব্র্যাড। ‘বাই দ্য সি’ ছবিতে ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’ জুটিকে দেখা যাবে এমন এক ভূমিকায়, যেখানে তারা নিজেদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঠেকাতে তৎপর।
ছবিটিতে জোলিকে দেখা যাবে বাথটাবে স্নানরত অবস্থায়। শরীরে নেই কাপড়ের বালাই। উদোম শরীর জলে ডুবিয়ে উপুর হয়ে আছেন। কোমরের উপরে ও পিঠে আঁকা ট্যাটু। কামার্ত চোখে তাকিয়ে আছেন ক্যামেরার দিকে।
নারীর শরীরের যৌনতার আখড়া তাদের সুন্দর স্তন। সেই স্তন ছাড়া নগ্ন দৃশ্যে দর্শক তাকে কিভাবে নেবে এটা নিয়েই যত সংশয় ব্রাড পত্নীর। তবে সংশয়ের পাশাপাশি আছে আত্মবিশ্বাসও। জোলি মনে করেন, স্তনচ্ছেদের মত কঠিন সিদ্ধান্ত যখন তিনি নিতে পেরেছেন তখন এমন দৃশ্যে পর্দায় হাজির হওয়াও কঠিন কিছু না। যদিও এডিট করে দৃশ্যটাকে পর্দায় দেখানো যেত। কিন্তু তাতে দর্শকদের ঠকানো হতো বলেই তাঁর ধারণা।