আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, ৪ মে: হাইকোর্টের ধাক্কায় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল। এই পরিস্থতিতে একাদশ শ্রেণিতে ছাত্রছাত্রী ভর্তি বন্ধ করল স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমনই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বীরভূমের মুরারই ২ নম্বর ব্লকের জাজিগ্রাম সর্বদয় আশ্রম হাইস্কুলে। ওই স্কুলের শিক্ষক সংখ্যা ছিল ১০ জন। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। ২০১৬ সালে ৩ জন শিক্ষক যোগদান করেন। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে তিনজনের চাকরি চলে যায়। ফলে একাদশ শ্রেণিতে বর্তমানে কোনো শিক্ষক নেই। এই অবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় পরিচালন সমিতি। তাদের সিদ্ধান্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে পরিচালন সমিতি।
প্রধান শিক্ষক দিব্যেন্দু রেজা বলেন, “এমনিতেই স্কুলের ছাত্রছাত্রীর থেকে শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা কম। ফলে নতুন করে চাপ বাড়লে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে পারে। সেই কারণেই ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে”।
সভাপতি মেহেন্দু শেখর দাস বলেন, “এলাকার মানুষ দরিদ্রসীমার নিচে বসবাস করেন। ভর্তি বন্ধ হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হবে ঠিকই। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই”।
অভিভাবক সমীর লাহা বলেন, “কাছাকাছি স্কুল বলতে মিত্রপুর, পাইকর কিংবা নন্দীগ্রাম। ওই সমস্ত স্কুলের দূরত্ব ৫-৭ ঘণ্টা। গ্রামের ছেলেমেয়েদের ওই সব স্কুলে যেতে সময় যেমন, লাগবে তেমনি অর্থ ব্যয় হবে। সেই অর্থ ব্যয় করার মতো সামর্থ্য অনেকের নেই। ফলে ছেলেমেয়েদের মাঝ পথে পড়াশোনায় ইতি টানতে হবে। আমরা চাই সরকার এর বিহিত করুক”।