আমাদের ভারত,৪ জানুয়ারি:সিএএ সংসদে পাশ হয়েছে। এবার মোদী সরকারের লক্ষ্য রোহিঙ্গাদের তাড়ানো। রোহিঙ্গারা কোন ভাবেই নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারবে না। এমনই মন্তব্য করেছেন উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তিনি বলেন, সংসদে পাস হওয়ার দিনই জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রয়োগ করা শুরু হয়ে গেছে।
জিতেন্দ্র সিং বলেন, রোহিঙ্গারা কিভাবে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে ঢুকে এসে জম্মুতে বসবাস শুরু করর তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন আছে। রোহিঙ্গাদের এই সম্প্রসারণ সম্পর্কে তিনি তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
তিনি বলেন, যেদিন সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আইন পাস হয়েছে সেদিনই জম্মু-কাশ্মীরে তা লাগু হয়েছে। সেখানে এই আইন প্রয়োগের সময় কোন প্রশ্ন ওঠেনি। এবার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
জম্মু-কাশ্মীরের সরকারি অফিসারদের প্রশিক্ষণ শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি মনে করিয়ে দেন, জম্মুতে বড় সংখ্যক রোহিঙ্গা বসবাস করছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন রোহিঙ্গাদের তাড়ানোর ব্যাপারে কি হবে?কেন্দ্র সরকার বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন?তাদের তালিকা তৈরি করতে হবে। বায়োমেট্রিক আইডেন্টিটি কার্ড তৈরি করা হবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের যে ছটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে রোহিঙ্গারা নেই। একই সঙ্গে যে তিনটি দেশ থেকে আসা শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে রোহিঙ্গারা সেইসব দেশগুলি থেকেও আসেনি। তারা এসেছে মায়ানমার থেকে। তাই তাদের ফেরত যেতেই হবে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী জম্মু ও সাম্বা জেলা ১,৩৭০০০ বিদেশি বাস করে। তার মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিরাও। ২০০৬ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সেখানে বিদেশীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ হাজার। বিজেপি, জম্মু কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স পার্টি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ও আরও কয়েকটি সামাজিক সংগঠন এর আগে বহুবার এই বিদেশীদের ফেরত পাঠানোর দাবি তুলেছে।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও আবারও যোধপুরের সভা থেকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এক পাও পিছু হটবে না সরকার।