বীরভূম জেলায় শুরু হয়েছে নোনা জলে মাছ চাষ

আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ৪ জানুয়ারি: “বীরভূম জেলাতে শুরু হয়েছে নোনা জলের মাছ চাষ। ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে নোনা জলের মাছ চাষ শুরু করা হয়েছে। বাঙালীকে মাছে ভাতে রাখতে এবং মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে এই উদ্যোগ”। শনিবার দুপুরে মুরারই ১ নম্বর ব্লকের গোঁড়সা পঞ্চায়েতের শ্রীনিবাসপুর গ্রামে বাঁশলৈ শাখা নদীর জলাধারে মাছ ছাড়ার পর এমনটা বললেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা।

এদিন গোঁড়শা পঞ্চায়েতর উদ্যোগে, জেলা মৎস্য দফতর ৪ কুইন্টাল ৮০ কেজি মাছ ছাড়ে বাঁশলৈ শাখা নদীর জলাধারে। যার পরিমাণ ২০ জাহার পিস মাছ। জলে মাছ ছাড়েন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য আধিকারিক পার্থসারথী কুণ্ডু, প্রাক্তন জেলা মৎস্য আধিকারিক শিবপ্রসাদ ঘোষ, জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ অরুণ কুমার সাহা, বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ আসগার আলি, খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ ভকত, মুরারই ১ নম্বর ব্লকের বিডিও নিশীথ ভাস্কর পাল, মুরারই ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির দলনেতা বিনয় ঘোষ, গোঁড়শা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুবীর মুখোপাধ্যায়।

মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, “বাইরের রাজ্য থেকে যেমন আমাদের এখানে মাছ আসে। তেমনি আমাদের রাজ্যের মাছও ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, দিল্লিতে যায়। আমরা মাছ চাষে অনেকটা স্বাবলম্বী হয়েছি। অনেকটা এগিয়েছি। কিছুটা বাকি আছে। সেই শূন্যস্থান আমরা পূর্ণ করে আমাদের চাহিদার থেকে বেশি উৎপাদনের দিকে এগিয়ে চলেছি। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন মৎস্যচাষে বাংলার স্বাবলম্বী হওয়া। তার স্বপ্ন পুরনের দিকে আমরা এগিয়ে চলেছি। সেই লক্ষ্যে আগামী দিনে আরও জলাশয়ে মাছ ছাড়া হবে”। মৎস্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, “বাইরে থেকে আর মাছের চারা আনা হবে না। সেই জন্য সরকারি সাহায্যে জেলায় হ্যাচারি করে দেওয়া হচ্ছে। সেখানেই ডিম ফুটিয়ে চারাপোনা করা হবে। জেলার মাছ চাষের জন্য চারাপোনা জেলার হ্যাচারি থেকেই নিতে হবে”। মাছ যাতে দ্রুত বড় হয় তার জন্য আধুনিক পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে নোনা জলের মাছ চাষ জেলায় শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চন্দ্রনাথ সিনহা। ইতিমধ্যে জেলায় বেশ কয়েকজন কৃষককে নোনা জলে মাচ চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি।

এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে জলাধারের দুই ধারে সাজিয়ে পর্যটন কেন্দ্র করার প্রস্তাব দেন প্রধান সুবীর মুখোপাধ্যায়। এই প্রস্তাবকে সমর্থন করে চন্দ্রনাথবাবু বলেন, “আগামী বছর জেলায় পর্যটন উৎসব হবে। বিডিওকে বলেছি খসরা রিপোর্ট তৈরি করে জেলা শাসকের কাছে পাঠাতে। পর্যটন উৎসবে প্রস্তাবটি তোলা হবে”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *