Sukanta, BJP, জুয়েল দৌড়বাজ! ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ঘনিষ্ঠ এএসআইয়ের সিজিও কমপ্লেক্সে দৌড় নিয়ে সিপিকে কটাক্ষ সুকান্তর, দাবি ফাঁসবে উপর মহল

আমাদের ভারত, ২১ আগস্ট: আর জি কর কান্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের ঘনিষ্ঠ কলকাতা পুলিশের এ এস আই মঙ্গলবার সিবিআইয়ের ডাকে সিজিও কমপ্লেক্সে যান। কিন্তু সেখানে পৌছতেই সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়াতে তিনি প্রাণপণে দৌড়তে শুরু করেন। সেই দৌড়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সিবিআই দপ্তরে দৌড়ে হাজির হওয়ার ঘটনায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে খোঁচা দিয়ে একরকম পরামর্শ দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, সিজিও কমপ্লেক্স চত্বরে যাকে এত দূরন্ত গতিতে দৌড়াতে দেখা যাচ্ছে তিনি কলকাতা পুলিশের একজন সহকারি ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মী। সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণ এড়াতে রীতিমতো ভিত সন্ত্রস্ত হয়ে এত তীব্র গতিতে দৌড়াচ্ছেন। কারণ তিনি মুখ খুললে তার ওপরের আধিকারিকরা ফেঁসে যেতে পারেন।

সুকান্ত মজুমদার আরো লিখেছেন, তারা ফেঁসে গেলে প্রশাসনের সর্বময় কর্তারাও ফাঁসবেন, তাই এত দূরন্ত গতি। আসলে নিজে বাঁচলে বাপের নাম।

আমি গতকালই এদের সম্পর্কে যথোপযুক্ত তথ্য দিয়েছিলাম, সতর্ক করেছিলাম। মাননীয় কমিশনার বিনীতবাবুকে আমার পরামর্শ, আপনার ডিপার্টমেন্টে এমন জুয়েল দৌড়বাজ থাকলে এদের তো অলিম্পিকসে পাঠাতে পারতেন। এতে পুলিশের মুখ উজ্জ্বল হতে পারতো, প্রতি পদে পদে মুখ পুড়তো না। আরজিকর ইস্যুকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশকেও বারবার তীব্র নিশানা দেগেছেন সুকান্ত মজুমদার। বিনীত গোয়েলের অপসারণের দাবি করেছেন তিনি।

সামান্য সিভিক ভলান্টিয়ার হয়ে কিভাবে এত দাপুটে হয়ে উঠেছিল আরজি কর কান্ডের ধৃত সঞ্জয় রায়। সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও কিভাবে পুলিশ ওয়েলফেয়ার বোর্ডের ব্যারাকে থাকতে পারতেন তিনি? কিভাবে পুলিশ কর্মীর পরিচয় দিয়ে অবাধে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতেন সঞ্জয়? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে সঞ্জয় রায় ঘনিষ্ঠ কলকাতা পুলিশের এএসআই অনুপ দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে সিবিআই। মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের ওই কর্মীকে সিজিও কমপ্লেক্স ডেকে পাঠায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছানোর পর অনুপ দত্ত সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনে রীতিমতো দৌড়াতে দৌড়াতে সিজিও কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেন। পুলিশ কর্মীর সেই দৌড়ের ভিডিও সহ সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত ব্যঙ্গ করে নিশানা দেখেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *