সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ৬ ডিসেম্বর: মৃত্যুর তিন দিনের মাথায় শুক্রবার সকালে জওয়ানের কফিন বন্দি দেহ বাড়িতে আসতেই বিজেপি ও তৃণমূলের দখলদারি নেওয়ার চেষ্টা প্রত্যক্ষ করলেন আড়ষার খুঁকড়ামুড়ার গ্রামবাসী। ওই রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের মধ্যেই ছত্তিসগড়ের নারায়ণপুরে ইন্দো তিব্বতীয় বর্ডার পুলিশের এক সতীর্থর এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত জওয়ান আড়শা থানার খুকড়ামুড়া গ্রামের বিশ্বরূপ মাহাতোর (২৮) অন্ত্যষ্টি ক্রিয়া শেষ হল।
তার আগে এদিন সাত সকালে শোকের আবহের মধ্যে বিশ্বরূপের কফিন বন্দি দেহ আইটিবিপির গাড়িতে গ্রামে পৌঁছায়। ছেলের নিথর দেহ বাড়ির উঠোনে তুলসি মঞ্চের কাছে নামাতেই কান্নার রোল নেমে আসে মা-বাবা পরিজনদের মধ্যে। এই দৃশ্য দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরাও চোখের জল থামিয়ে রাখতে পারেননি। কিছুক্ষণের মধ্যেই যুবকের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে শ্মশানে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ যাত্রায় গ্রামবাসীর সঙ্গে আচমকা যোগ দেন সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
শ্মশানে তিন বার শূন্যে মোট ২৭ টি গুলি ছুঁড়ে গান স্যালুট জানান ইন্দো তিব্বতীয় বর্ডার পুলিশের রাঁচীর ৪০ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা। শ্রদ্ধা জানান সঙ্গে থাকা ওই ব্যাটেলিয়ানের কমাণ্ডেন্ট রবীন্দ্র কুমার। এর পরই স্থানীয় বিধায়ক তথা রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু ও তাঁর স্বামী জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টুডু। তাঁরাও ওই যুবকের অন্ত্যষ্টি ক্রিয়ায় যোগ দেন এবং শ্রদ্ধা জানান।