আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ৩০ আগস্ট:নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবককে ২৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। যুবকের নাম তারিফুল ইসলাম। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির বাসিন্দা।
শুক্রবার জেলা আদালতের পকসো আদালতের স্পেশাল কোর্টের বিচারক ইন্দুবর ত্রিপাঠি বিচারাধীন বন্দিকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করল।
১২ ডিসেম্বর ২০২০ সালে ময়নাগুড়ি ব্লকের এক গ্রামের ১১ বছরের নাবালিকা বাড়ির পাশে চা বাগানে ভাইরের সঙ্গে চা পাতা ও ফুল তুলতে গিয়েছিল। অভিযুক্ত যুবক তাদের ভয় দেখায়, বাগানের মালিক এসেছে বলে জানায়। সেই ভয়ে নাবালিকার সঙ্গে থাকা সকলে বাগান থেকে পালিয়ে যায়। সেই সময় অভিযুক্ত যুবক নাবালিকার মুখ চেপে চা বাগানে নিয়ে যায়। সেই দৃশ্য নাবালিকার ভাইয়ের নজরে পড়ে। সে বাড়ি গিয়ে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। এরপরেই পরিবারের সকলের নজরে পড়ে চা বাগান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত যুবক তারিফুল। বাগানের নর্দমার পাশে নাবালিকা পোশাক ছাড়া পড়েছিল অচৈতন্য অবস্থায়। জখম নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শারীরিক পরীক্ষায় উঠে আসে নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এতদিন মামলাটির বিচার চলছিল জেলা আদালতে।
আদালতের সহকারি সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত বলেন, “মোট ৮ জন এই মামলার সাক্ষী ছিল। বিচারক অভিযুক্তকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত নাবালিকাকে চার লক্ষ টাকা জেলা লিগাল সার্ভিস অথরিটি থেকে দিতে বলা হয়।