আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ১১ জুন: বালিকাকে ধর্ষণ করে খুন, অভিযুক্ত যুবককে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করলো জলপাইগুড়ি জেলা ও দায়রা আদালতের বিশেষ পকসো কোর্ট। খুশি নাবালিকার পরিবার। অভিযুক্ত যুবককে ফাঁসির সাজার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের দাবি, চলতি বছরে মোট ২৬টি মামলার সাজা ঘোষণা হয় জেলা আদালতে।
২০২৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে গ্রামের পুরুষরা সেখানে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সময় গ্রামের এগারো বছরের এক বালিকা বাড়ির সামনে খেলা করছিল। সেই সময় ওই বালিকা পড়শি অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে জল আনতে গিয়েছিল। গ্রাম ফাঁকা থাকায় অভিযুক্ত যুবক বালিকাকে বাড়িতে ধর্ষণ করে, এরপর তাকে খুন করে। প্রমাণ লোপাট ও দেহ লোপাটের উদ্দেশ্যে বালিকার দেহ বস্তায় ঢুকিয়ে সাইকেল করে নদীতে ফেলে দিয়েছিল অভিযুক্ত। ১ অক্টোবর সন্ধে নাগাদ গাদং ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজি পাড়ার কাছে ডুডুয়া নদী থেকে বালিকার বস্তা বন্দি মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে।
তদন্তে উঠে এসেছে অভিযুক্তর বাড়িতে বালিকা জল আনতে ঢুকলেও তাকে কেউ বের হতে দেখেনি৷ অভিযুক্ত যুবক বস্তা করে দেহ নিয়ে গিয়েছিল গ্রামবাসীরা সেটাও দেখেছিল, কিন্তু জিজ্ঞেস করলে অভিযুক্ত জানায় জামাকাপড় রয়েছে। সব তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন বিশেষ পকসো কোর্টের বিচারক রিন্টু সুর, জানালের সহকারি সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত। তিনি বলেন, “এই মামলায় মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ গ্রহণ করে আদালত। অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজার পাশাপাশি তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য সাত বছরের কারাদণ্ড ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদারে আরও দুই মাসের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।”
বালিকার বাবা এদিন কোর্টে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন৷ তিনি বলেন, এটা জয়ের, কান্না। এরকম অভিযুক্তদের ফাঁসির সাজা হওয়ার আমরা খুশি।”