আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২১ এপ্রিল: নাবালক সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার অভিযুক্ত স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজার নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক অ্যান্ড সেশন জাজ বিপ্লব রায়। সমস্ত তথ্য প্রমাণ এবং এই মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্বামী সুজিত দে ভৌমিককে দোষী সাব্যস্ত করে এই সাজা শুনিয়েছেন বিচারক৷
২০২৩ সালের ২০ জুন ময়নাগুড়ি থানা এলাকার সরকার পাড়ায় খুনের ঘটনা ঘটেছিল। খুন হওয়া বধূর নাম মিতালি দে ভৌমিক (৩২)। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল, প্রায় ১০-১২ বছর আগে পাশের গ্রাম ধওলাগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মিতালিকে বিয়ে করেছিলেন সুজিত। তাদের ৮ বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে পণের জন্য চাপ দিত অভিযুক্ত স্বামী। এখানেই শেষ নয়, ইতিমধ্যে সুজিত পরকীয়াতেও জরিয়ে পড়েছিল। পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হত প্রায় দিনই বলে অভিযোগ। ২০২৩ সালের ২০ জুন এই বিষয় নিয়ে স্বামী ও স্ত্রী মধ্যে বিবাদ হয়। এর পরেই
অভিযুক্ত স্বামী তার নাবালক পুত্র এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সামনেই স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ।
সহকারী সরকারি আইনজীবী প্রসেনঞ্জিৎ কুমার দেব বলেন, “ঘটনার পর মৃত গৃহবধূর দিদি চৌতালী ভৌমিকের অভিযোগের ভিত্তিতে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ খুনের মামলা দায়ের করে সুজিতকে গ্রেপ্তার করে। দেড় বছরে একাধিকবার সার্কিট বেঞ্চে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে এদিন আদালতের রায়ে খুশি মিতালি দে ভৌমিকের মা কল্পনা সরকার। তিনি জানান, সঠিক বিচার হয়েছে। এতে পরিবারের সমস্ত সদস্যের পাশাপাশি তাঁর মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে।