আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ১২ মার্চ: শিলিগুড়ি’র এক আইনজীবী’র অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় কমিশনারেটের গোয়ান্দা বিভাগের এক অফিসারকে তদন্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। মঙ্গলবার সার্কিটের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারক বিশ্বজিৎ বসু মামলার সব দিক খতিয়ে দেখে এই নির্দেশ দিয়েছেন তদন্তের জন্য। গত বৃহস্পতিবার এই মামলায় তদন্তকারী অফিসারকে তিরস্কার করে তদন্তকারী অফিসারকে বদল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। মামলাকারী মৃত আইনজীবী’র পরিবারের অভিযোগ, আইনজীবীকে খুন করা হয়েছে।
শিলিগুড়ি’র হায়দার পাড়ার বাসিন্দা পেশায় আইনজীবী নবীন সরকার (৩৩) ৩ ডিসেম্বর নিখোঁজ হয়ে যায় বলে দাবি পরিবারের। ৪ ডিসেম্বর এনজেপি থানা এলাকার মাডার মোড়ের ক্যানেল থেকে নবীনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে গজলডোবার ভোরের আলো সংলগ্ন ক্যানেলের পাশ থেকে মৃতের স্কুটি উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ প্রথম দিন থেকেই আত্মহত্যা ঘটনা বলে দাবি করে আসছিল বলে জানায় মৃতের পরিবার। মৃতের পরিবারের দাবি, যেখান থেকে স্কুটি উদ্ধার করে পুলিশ সেখানে হাঁটু জল ছিল। সেই হাঁটু জলে কিভাবে আত্মহত্যা করবে নবীন প্রশ্ন তুলেছে সকলে।
অন্যদিকে কয়েক ঘণ্টা মৃতদেহ জলে ডুবে থাকলে হাত ও পায়ের আঙুল চুপসে যাওয়া সহ অনান্য বিষয় গুলি লক্ষ্য করা যায়নি বলে দাবি। তাই পুলিশের তদন্তে গাফিলতি’র অভিযোগ ওঠে। গত ১১ জানুয়ারি মৃতের পরিবার সার্কিট বেঞ্চে সঠিক তদন্ত চেয়ে মামলা করেছিল। এদিন মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই মামলাটিতে কোর্ট আগের দিনই বলেছিল, তদন্ত ঠিক হয়নি অনেক ভুল রয়েছে। আগের তদন্তকারী অফিসার এই প্রথম ৩০২ মামলা তদন্ত করেছিল। এই কারণে কোর্ট মামলাটি শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের গোয়ান্দা দফতরকে (ডিডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এর ফলে সত্য ঘটনা উঠে আসবে।”
এদিকে আদালতের অ্যাডিশনাল অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়জিৎ চোধুরী বলেন, “এই মামলাটিতে গোয়েন্দা দফতরকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। জোনাল ডিসিপি এটার মনিটরিং করবেন।”