TMC, Jagaddale, জগদ্দলে তৃণমূল নেতা খুনে বড় সাফল্য ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের, গ্রেফতার দুই মূল অভিযুক্ত

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১৮ নভেম্বর: ১৩ নভেম্বর সকালে জগদ্দল থানার অদূরে চায়ের দোকানের ভেতরে গুলি করে খুন করা হয়েছিল তৃণমূল নেতা অশোক সাউকে। সেই ঘটনার পর থেকেই জোর কদমে তদন্ত শুরু করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ ও জগদ্দল থানার পুলিশ। এই ঘটনায় বড় সাফল্য পেল পুলিশ। অশোক সাউয়ের মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুজল প্রসাদ ও সানি সাউকে বর্ধমান স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করলো ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটর গোয়েন্দা বিভাগ।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রথম অবস্থায় খুন করার পর এরা বিহারে পালিয়ে গিয়েছিল। পুলিশের চাপে তারা সেখান থেকে বেরিয়ে যায় এবং বর্ধমান থেকে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের বিশেষ টিম তাদের গ্রেফতার করে। এই মামলায় এখনো পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। উদ্ধার হয়েছে মোট দুটি পিস্তল। দুটি ওয়ান শাটার।

অশোক সাউয়ের খুনের মামলায় মূলত সাতজনের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে চারজনকে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেফতার করতে পেরেছে এবং তিনজন এখনো অধরা। এখনো পর্যন্ত সজল প্রসাদ, কাউসার আলী, সজল পাশওয়ান, সানি দাস এই ৪ জন দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে পুলিশ। তবে এখনো অধরা রয়েছে রাহুল, ভোদু, সুমিত নামে তিন দুষ্কৃতী। তদন্ত অনুযায়ী আকাশ প্রসাদের মৃত্যুর বদলা নিতে এই খুন এমনটাই মত পুলিশের। ২০২০ সালে খুন হয়েছিল আকাশ প্রসাদ, আর সেই ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল মৃত তৃণমূল নেতা অশোক সাউ। তাই এর আগেও অশোক সাউকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আর সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল আকাশের ভাই সুজল প্রসাদ ও সানি দাস। কিছু দিন আগেই এই দুজন জামিনে জেল থেকে বের হয়েছিল।

জানাগেছে, সম্প্রতি জেল থেকে বেরিয়ে সুজল প্রসাদ ভাটপাড়া কলাবাগান অঞ্চলের কিছু ছেলেদের নিয়ে টিম তৈরি করে সেই গ্যাংয়ের হাতেই মৃত্যু হয় অশোক সাউয়ের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *