আমাদের ভারত, ১২ নভেম্বর: বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর গত কয়েক মাস ধরে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। হিন্দু সহ সে দেশের সংখ্যালঘুরা বারবার আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গেও দুর্গাপূজা, কালীপূজার মন্ডপে হামলা, ভাঙ্গচুরের ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার গিরি গোবর্ধনধারী চ্যারিটেবল ট্রাস্টের উদ্যোগে কলকাতায় একটি বড় মিছিল হয় মঙ্গলবার। সেই মিছিলে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতারা পা মেলান।
মিছিল থেকে শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দেন বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন বন্ধ না হলে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশন বন্ধের দাবিতে ধর্নায় বসবেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমরা বাংলাদেশের হিন্দু ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। বাংলাদেশে যদি হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ না হয় তাহলে কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন বন্ধ করার দাবিতে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলবো।
বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর অত্যাচার ও পশ্চিমবঙ্গের দুর্গা মূর্তি ভাঙ্গচুরের প্রতিবাদে এদিন মিছিল হয়। এই মিছিল থেকে শুভেন্দু অধিকারী হুঙ্কার দিয়ে বলেন, হিন্দুদের ক্ষমতা ও শক্তি দেখাবার সময় এসেছে। ধর্ম রক্ষা করতে প্রতিটি গ্রামে, ওয়ার্ডে ধর্ম রক্ষা কমিটি তৈরি করতে হবে। নিজেদের বাঁচার রাস্তা নিজেদেরকেই করতে হবে। বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, দুর্গাপূজার সময় পশ্চিমবঙ্গে লাগাতার মাতৃ মূর্তি ভাঙ্গা হয়েছে। গার্ডেন রিচে, ফালাকাটায় মন্ডপে ঢুকে ঢাক বাজাতে নিষেধ করা হয়েছে। শ্যামপুরে দুর্গা প্রতিমা ভাঙ্গা হয়েছে। বাউরিয়াতে নিরঞ্জন মিছিলের ওপর পাথর বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতার রাজাবাজারে কালী মূর্তি ভাঙ্গা হয়েছে।
প্রথমে এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এরপর উদ্যোক্তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। আদালতের নির্দেশে বিকেল তিনটে পাঁচ মিনিটে রানী রাসমণি রোড থেকে মিছিল শুরু হয়। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ক্রসিং এ এসে শেষ হয় মিছিল।
এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন বহু মানুষ। লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাটে বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্র সহ সন্দেশখালির নির্যাতিতারাও।