আমাদের ভারত, ৪ ফেব্রুয়ারি: নাবালিকার মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে মালদা শহর। প্রতিদিন দোষীর শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নামছে শহরবাসী। শনিবার রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে। এরপর রবিবার সকালে নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সাংবাদিকদের সেখানে তিনি বলেন, কেন ও কিভাবে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটল তা নিয়ে উচ্চ স্তরে তদন্ত হওয়া উচিত।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ধৃত যুবক একাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে? নাকি আরও কেউ জড়িত আছে তাও দেখতে হবে। বিজেপি নেতার অভিযোগ, পুলিশের তদন্তে গাফিলতি রয়েছে।
বিজেপি সাংসদ বলেন, “আমাদের কাছে খবর আছে, ঘটনাস্থলে এখনও নাবালিকার চশমা পড়ে রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সব সামগ্রী পুলিশের হেফাজতে চলে যাওয়া উচিত। পুলিশ প্রশাসন জেলায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলেও ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মালদায় যখন ছিলেন, সেই সময় এই ঘটনা ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করতে সময় লেগেছে। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের উপস্থিতিতে যদি এই ঘটনা ঘটে তবে নিশ্চিত যে অপরাধীদের মনে পুলিশকে নিয়ে কোনো ভয় নেই। আমাদের কাছে খবর, মূল অভিযুক্ত নেশা করতো। আমরা জানতে পেরেছি মালদায় যুবক যুবতীদের, মাদক ভয়ঙ্করভাবে প্রভাবিত করছে। এই মাদক চক্রের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন ও জেলা তৃণমূলের মদত রয়েছে। তার অভিযোগ, জেলা তৃণমূলের কাছে মাদক ব্যবসায়ীরা মাসোহারা পৌঁছে দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, মৃতদেহ উদ্ধারের সময় ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান সেখানে যাচ্ছেন, অর্থাৎ সকলের কাছে খবর ছিল মৃতদেহ কোথায় আছে। এটা পুরো নাটক।
অন্যদিকে, ঘাটালে তৃণমূল সাংসদদের বিভিন্ন জায়গায় পদত্যাগ বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, দেবের সিনেমাতে গরু ও কয়লা পাচারের টাকা লগ্নি হয়েছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাকে ডেকে পাঠিয়েছিল। তখনো আমি বলেছিলাম, আবার বলছি সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে নরকবাস। দেব এমনি ভালো ছেলে, তাকে অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করতে বলবো। ওর কোনদিনই ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছে ছিল না আগামী দিনেও নেই। ফিরহাদ হাকিমের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সেখানে শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী জোর করে দেব’কে ভোটের ময়দানে নামিয়েছেন এবারও তার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।