আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২৭ ডিসেম্বর: “নাগরিকত্ব আইন পশ্চিমবঙ্গে কবে লাগু হবে তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে সিএএ রাজ্যে লাগু হবেই। বর্তমানে করোনা অতিমারির কারনে আইন প্রণয়নে দেরি হচ্ছে। কেন্দ্র যখন এই আইন এনেছে তা লাগু হবেই।” উত্তর ২৪ পরগনার পলতায় এই মন্তব্য করেন তথাগত রায়।
সিএএ -র বর্ষপূর্তি উপলক্ষে উত্তর ২৪ পরগনার পলতায় বিজেপির উদ্বাস্তু সেল, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে এক বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এই সভায় বক্তব্য রাখেন তথাগত রায়। সিএএ রাজ্যে লাগু হওয়া নিয়ে বিলম্ব হওয়ায় ক্ষুব্ধ বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এই প্রসঙ্গে জল্পনা চলছে শান্তনু ঠাকুর সাংসদ পদ ত্যাগ করতে পারেন। এই বিষয় নিয়ে তথাগত রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “শান্তনু ঠাকুরের রাগ করাটা স্বাভাবিক। মতুয়ারা কতটা কষ্ট সহ্য করে এদেশে এসেছে। ওরা দীর্ঘদিন ধরেই নাগরিকত্ব আইনের জন্য অপেক্ষা করছেন। মতুয়ারা চাইছেন আইন দ্রুত লাগু করা হোক বাংলায়। তবে করোনা অতিমারির কারনে দেরি হচ্ছে আইন প্রাণয়নে। আমি শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। ওর সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছে। ওর উচিত মাথা ঠাণ্ডা রেখে অন্যান্য মতুয়াদের বিষয়টি সম্পর্কে বোঝানো।”
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন তথাগত রায়। তিনি বলেন, “ওকে চানাচুর ওয়ালার থেকে বেশি কিছু মনে করি না। পিসির আঁচলের তলায় আছে। যতদিন পিসি আছে, ততদিন ভাইপো থাকবে। আগামী ৬ মাস পর বিজেপির সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।” তিনি আরো বলেন, “তৃণমূলের কোনও নেতা মন্ত্রীকে আমরা ডেকে দলে অন্তর্ভুক্ত করছি না। স্বেচ্ছায় আসছে আমাদের দলে।”