Fundamentalist, Bangladesh, ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে না হলে সন্ন্যাসীদের কেটে ফেলতে হবে, অন্যথায় আমরা হাতে অস্ত্র তুলে নেব, হুমকি মৌলবাদীদের

আমাদের ভারত, ৮ ডিসেম্বর: বাংলাদেশে ইসকন মৌলবাদীদের নিশানায় রয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। প্রকাশ্যে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি আগেও উঠেছে। তবে এবার ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে রীতিমতো হুমকি এলো। সে দেশে সরকারকে ডেড লাইন বেধে দিয়ে ধর্মীয় সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা, না হলে তারা অস্ত্র হাতে তুলে নেবে বলে জানায়। এমনই একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ইউনুস সরকারের কাছে দাবি জানানো হচ্ছে, “ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে, অন্যথায় আমরা হাতে অস্ত্র তুলে নেব। তাদের কেটে ফেলবো। এটা ধর্মীয় অনুশীলন বা মেহেফিলের সময় নয়। এখন সময় ইসকনের সাথে লড়াই করার। ইসকনকে নিষিদ্ধ না করলেই ইসকনের পণ্ডিতদের একে একে মেরে ফেলুন।”

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বেড়েই চলেছে। তারই মধ্যে ইসকনের মন্দিরে আগুনে ধরিয়ে দিচ্ছে মৌলবাদীরা। ভয়ে, আতঙ্কে কোনরকমে লুকিয়ে বেড়াচ্ছে হিন্দুরা। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ ইউনুস সরকার। কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধা রমন দাস বলেন, “খুব ভয়ংকর, এখন ডেড লাইন বেঁধে সরকারকে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার ডাক দেওয়া হচ্ছে। সরকার যদি এখনই এইসব লোকেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আগামী দিন ভয়ংকর হতে চলেছে। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ওই হুমকির দুটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।

বাংলাদেশের চারিদিকে নৈরাজ্য চলছে। দিকে দিকে আক্রান্ত হিন্দুরা। ফি দিন হিন্দু পাড়ায় চলছে আক্রমণ ও লুটপাট। মৌলবাদীদের হুমকিতে সিটিয়ে রয়েছে সংখ্যালঘু সমাজ। হিন্দু মহল্লায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। একেবারে মিছিল করে গিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়, মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে মৌলবাদীরা। ঢাকার ইসকনের রাধা কৃষ্ণের মন্দিরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর লাগাতার অত্যাচারের ঘটনায় ইউনুস সরকারকে রাজ ধর্ম পালনের কথা স্মরণ করিয়েছেন সে দেশের প্রধান বিচারপতি। একই সঙ্গে ৭১- এর মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের অবদানের কথা মনে রাখার কথাও বলেছেন তিনি। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারির আবহে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *