আমাদের ভারত, ২৮ মে: আবারো কি যুদ্ধের হাতছানি? ফের মকড্রিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দেশের কয়েকটি রাজ্যে। ভারত- পাক সংঘাতের আবহে বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া গুজরাট, পাঞ্জাব, রাজস্থান, জম্মু-কাশ্মীরে মকড্রিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপারেশন সিঁদুরের পর সীমান্ত লাগোয়া একাধিক জায়গায় হামলা চালিয়েছে পাক সেনা। তার মধ্যেই মকড্রিলের নির্দেশ দেওয়াকে ঘিরে যুদ্ধের জল্পনা শুরু হয়েছে।
ভারত- পাক সংঘর্ষের আবহে ৭ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফের দেশের ২৭টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মকড্রিলের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। তার আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানে থাকা নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। এরপর পাক সেনা ভারতে হামলা চালায়। প্রত্যাঘাত করে ভারত। চার দিন পর ১০ মে সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা হয়। তারপরেও আবার পাক সীমান্ত লাগোয়া আর চারটি রাজ্যে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৯ মে মকড্রিলে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
শেষবারের মকড্রিলে সাধারণ মানুষকে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে একাধিক সতর্কতামূলক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। হঠাৎ বিমান হামলা হলে সাইরেন বাজলে কী করা উচিত। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্ল্যাকআউট হলে কী করতে হবে। আপদকালীন পরিস্থিতিতে নিজেকে কিভাবে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। এসব বিষয়ে সাধারণ নাগরিক এবং শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের একাধিক জনপদ, ধর্মস্থান লক্ষ্য করে ড্রোন মিসাইল হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান। যদিও পাকিস্তানের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করেছিল ভারত। তখন একবার মকড্রিলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু এরপর আবার বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সীমান্ত লগোয়া চারটি রাজ্যে যুদ্ধ মহড়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর তাতেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি আবারো ভারত-পাক সংঘাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে?