আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৯ জানুয়ারি: কুমারগঞ্জে কিশোরী খুনের ঘটনায় তদন্তকারী অফিসারকেই অভিযুক্তের ধমকানোর অভিযোগ তুললেন সাংসদ। ঘটনার তিন দিন পরেও মূল অভিযুক্তের কাছ থেকে দোষ স্বীকার করাতে অপারক কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সাংসদের দাবি, অপর দুই অভিযুক্ত ঘটনা নিয়ে নিজস্ব স্বীকারোক্তি দিলেও মূল অভিযুক্তের এ বিষয়ে কোনও অনুশোচনাই নেই। উল্টে থানার ওসি সহ ঘটনার তদন্তকারী অফিসারকে ধমকাচ্ছে ওই মূল অভিযুক্ত বলেও দাবি তুলেছেন সাংসদ। এমন ঘটনায় দোষীরা সঠিক সাজা পাবে কি না তা নিয়েও সংবাদমাধ্যমের কাছে সংশয় প্রকাশ করলেন সুকান্ত মজুমদার।
গত সোমবারের ঘটনার পর তিন অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হলেও তাঁদের কাছ থেকে সঠিক তথ্য প্রমাণ সেভাবে জোগাড় করতে পারেনি পুলিশ বলে অভিযোগ। সাংসদের কথায় ঘটনার দিন থানায় দরবার করতেই পুলিশ আধিকারিক পরিকাঠামোহীনতার গল্প শুনিয়েছিলেন। ফলে প্রথম থেকেই পুলিশ শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে দোষীরা সঠিক সাজা নাও পেতে পারে। যে কারণে পুলিশের সিবিআই’এর সাহায্য নেওয়া উচিত বলেই মনে করেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, কুমারগঞ্জ থানায় যে পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে তা ঘটনার দিনই স্বীকার করেছে পুলিশের এক কর্তা। তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ তো দূর উল্টে তদন্তকারী অফিসারকেই ধমকাচ্ছে অভিযুক্ত। যার কারণে দোষী ব্যক্তিদের সঠিক সাজা না পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দোষীদের ফাঁসির সাজা দেবার জন্য পুলিশ চাইলেই সিবিআইয়ের সাহায্য নিতে পারে।