আমাদের ভারত, ২৯ মে: লোকসভা নির্বাচনের আগে বুধবার বাংলায় শেষ জনসভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কাকদ্বীপের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী দাবি করেছেন, নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর ভারতের রাজনীতি উত্তাল হবে। তাঁর কথায়, দিশাহারা হয়ে পড়বে পারিবারতান্ত্রিক বিরোধী দলগুলি।
বুধবার একসঙ্গে তিনটি কেন্দ্রের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেন প্রধানমন্ত্রী। আজকের জনসভায় তাঁর যাবতীয় নিশানা ছিল তৃণমূল ও কংগ্রেস সহ জাতীয় স্তরের সমস্ত বিরোধী দলের বিরুদ্ধে। কাকদ্বীপের সভা থেকে তোষণ, কাটমানি থেকে শুরু করে মুসলিমদের ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া, বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের রমরমা বৃদ্ধি নিয়ে শাসক দলকে নিশানা দাগেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, বাংলার মানুষদের নিয়ে তৃণমূলের কোনো ভাবনা নেই। শুধু তোলাবাজি এবং কাটমানি নিয়ে ওদের যত ভাবনা। তিনি প্রশ্ন করেন এই তৃণমূলকে কি সাজা দেবেন না?
তিনি বলেন, তৃণমূলের সব কাজের কাটমানি চাই। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ন্যাসীদের অপমান করা ও কু-কথা বলার অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আজ এত কিছু বললেও একবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেনি তিনি।
একই সঙ্গে বাংলায় শেষ সভা থেকে ৪ জুনের পর পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের পরিস্থিতি কি হবে তা নিয়েও ভবিষ্যৎবাণী করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল, কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলিকে নিশানা দেগেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দেশের রাজনীতি উথাল-পাথাল হবে। পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি আপনা থেকেই দিশেহারা হয়ে যাবে। ওই দলগুলির কর্মীরাও হাঁপিয়ে উঠেছে। ওরাও দল থেকে সরবে।
কাকদ্বীপের সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোষণের অভিযোগ তুলে জনবিন্যাস বদল নিয়েও আক্রমণ করেন মোদী। তাঁর অভিযোগ, অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির জনবিন্যাস বদলে দিয়েছে তৃণমূল। ভোট ব্যাঙ্ককে তুষ্ট করতে তৃণমূল এই কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা বাংলায় এসে আপনাদের জমি জায়গা কেড়ে নিচ্ছে। যুবকদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। পুরো দেশ চিন্তিত। বাংলার সীমান্তবর্তী
এলাকাগুলিতে জনবিন্যাস বদলানো হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, সিএএ নিয়ে তৃণমূল কেন মিথ্যা বলছে? কেন বিরোধিতা করেছে? সবটাই অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকানোর জন্য। হিন্দু শরণার্থীদের জায়গা দেবে না তৃণমূল। মতুয়াদের থাকতে দিতে চায় না এরা। কিন্তু ৪ জুনের পর তৃণমূলের সব হাওয়া বেরিয়ে যাবে।