India, Muslim, Hindu, ভারতে হু হু করে বেড়েছে মুসলিম জনসংখ্যা, কমছে হিন্দু, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মন্ডলীর রিপোর্টে উঠে এলো বড় তথ্য

আমাদের ভারত, ৯ মে: কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ভারতে আর কোন হিন্দু থাকবে না। হিন্দু, মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মের জনসংখ্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আর্থিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের একটি রিপোর্টকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ ওই রিপোর্ট বলছে মোট জনসংখ্যার নিরীখে ৬৫ বছরে ভারতে হিন্দুদের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৮%। আর সেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৪৩ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আর্থিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের “ধর্মীয় সংখ্যালঘুর অংশীদারিত্ব আন্তর্দেশীয় বিশ্লেষণ” নামে রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে জনসংখ্যা বিচার করলে ১৯৫০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ৭.৮২ শতাংশ। অথচ সেই সময়ের মধ্যেই মুসলিম জনসংখ্যা ৪৩.১৫ শতাংশ বেড়েছে। খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং শিখদের জনসংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে এই সময়ে। তবে পার্সী এবং জৈনদের জনসংখ্যা কমেছে।

আর এই তথ্য নিয়েই কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি দাবি করেছেন, কংগ্রেসের জন্যই দেশে হিন্দুদের অংশীদারিত্ব কমে গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৫০ সালের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৮৪.৬৮% মানুষ হিন্দু ছিলেন‌, ২০১৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮.৬ শতাংশে। আবার ১৯৫০ সালে মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৯.৮৪ শতাংশ মুসলিম মানুষ ছিলেন, সেটা ২০১৫ সালে বেড়ে ১৪.০৯ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। অর্থাৎ ওই ৬৫ বছরে ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা ৪৩ শতাংশ বেড়েছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

রিপোর্টের প্রেক্ষিতে লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে অমিত মালব্য বলেছেন, ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার নীরিখে ভারতে হিন্দুদের সংখ্যা ৭.৮% কমে গেছে। কয়েক দশক ধরে কংগ্রেসের শাসনের ফলে এটা হয়েছে। সেখানে মুসলিমদের সংখ্যা বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। তাই কংগ্রেস এলে দেশে কোন হিন্দু থাকবে না।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেছেন কংগ্রেস চাইছে ভারতকে ইসলামিক স্টেটে পরিণত করতে। মুসলমানদের সংরক্ষণ দিতে চাইছে কংগ্রেস। কিছু লোক দেশকে বিভ্রান্ত করতে চায়। কিন্তু সত্যকে আড়াল করা যায় না। ১৯৪৭-এ হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ৯০% আজ আমরা ৭০ শতাংশে নেমে এসেছি। বর্তমানে মুসলমানের জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০ শতাংশ যা ছিল ৮%। কংগ্রেসীরা দেশকে ধর্মশালায় পরিণত করেছে। বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা দেশে এসেছে। ভোট ব্যাঙ্কের জন্য রোহিঙ্গাদের দেশে আনা হয়েছে। মুসলমানদের রিজার্ভেশন দিতে চায় এই লোকেরা। দেশকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানাতে চায়।

রিপোর্ট অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার নিরিখে ১৯৫০ সালে ২.২৪ শতাংশ খ্রিস্টান ছিল, যা ২০১৫ সালে বেড়ে ২.৩৬ শতাংশ হয়েছে। ৬৫ বছরে খ্রিস্টানদের সংখ্যা ৫.৩৮ শতাংশ বেড়েছে। আবার মোট জনসংখ্যার নিরিখে ১৯৫০ সালে যেখানে ১.২৪ শতাংশ শিখ ছিল, ২০১৫ সালে সেটাই বেড়ে ১.৮৫% হয়েছে, অর্থাৎ শিখদের সংখ্যা বেড়েছে ৬.৫৮ শতাংশ।

এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে ১৯৫০ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বৌদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেশ বেড়েছে। মোট জনসংখ্যার নিরিখে ১৯৫০ সালে যেখানে ০.০৫ শতাংশ বৌদ্ধ ছিলেন। ২০১৫ সালে সেটি বেড়ে ০.৮১ শতাংশ হয়েছে। তবে কমেছে জৈন ও পার্শী জনসংখ্যা। ১৯৫০ সালে মোট জনসংখ্যার যথাক্রমে ০.৪৫ ও ০.০৩ শতাংশ জৈন এবং পার্সী মানুষ ছিলেন, যা ২০১৫ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ০.৩৬ শতাংশ ও ০.০০৪ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *