আমাদের ভারত, ১৪ সেপ্টেম্বর: বৃহস্পতিবার বারনসীতে রাজা জৈন সিং মন্দিরে অনুষ্ঠিত হল ভারতীয় ভাষার লেখক সম্মান ২০২৩ অনুষ্ঠান। মোট ১৮টি ভাষার লেখকদের স্মারক অষ্ট ধাতুর শঙ্খ এবং পুস্তক দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হল। হিন্দী দিবসের দিন এই সমাবেশ ভীষণ ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
বাংলা, তামিল, তেলেগু, অসমীয়া, পাঞ্জাবী, উর্দু, কন্নড়, ওড়িয়া, ভোজপুরি ইত্যাদি ভাষার সাহিত্যিক এবং সাংবাদিকদের সম্মানিত করা হয়। বাংলা থেকে সম্মানিত হন ডক্টর সুমন চন্দ্র দাস। তিনি বাংলা ও সাহিত্য নিয়ে ৯টি পুস্তক রচনা করেছেন। এছাড়াও বাংলা ভাষায় সুবর্ণ ভূমি নামক ত্রৈমাসিক পত্রিকায় গবেষণা ধর্মী বিষয় নিয়ে সম্পাদনা করেছেন।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামেশ্বরমের শ্রী শঙ্করাচার্য সরস্বতী মহারাজ, উত্তর প্রদেশ সরকারের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশবচন্দ্র মৌর্য, আরএসএস-এর প্রবীন সংঘ প্রচারক লক্ষ্মী নারায়ণ ভালা, ‘হিন্দুস্থান সমাচার’-এর কর্ণধার অরবিন্দ ভালচন্দ্র মান্ডিকর। এছাড়াও ছিলেন অযোধ্যার হনুমান নিবাসের আচার্য মিথিলানন্দিনীশ্বর মহারাজ।
শঙ্করাচার্য সরস্বতী বলেন, সমাচার ভারতীয় সংস্কৃতির প্রাচীন সনাতনী প্রবাহ। সাহিত্য এবং সংবাদের ভাষায় লোক কল্যাণের কথাকে উপস্থাপন করতে হবে। কর্মকে ধর্ম এবং ধর্মকে কর্ম ভেবে সমাজের মঙ্গলসাধন হবে এমন সাহিত্য তৈরি করতে হবে।
কেশব চন্দ্র মৌর্য বলেন, নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতিতে প্রাদেশিক ভাষার উপর সাহিত্য চর্চার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় ভাষায় বিষয় লিখেই রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। মধ্যপ্রদেশ সরকার ভারতীয় ভাষায় মেডিক্যাল পড়ানোর প্রস্তাব পাশ করিয়েছেন। ভারতীয় ভাষার গুণেই ভারত চন্দ্রযান ৩ তৈরি হয়েছে।