সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ২২ ডিসেম্বর. প্রত্যেক বছরই শীতে ভিড় উপচে পড়ে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায়। আর দর্শকদের জন্য প্রত্যেক বছরই কিছু না কিছু নতুন দেওয়ার চেষ্টা করে আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। ব্যতিক্রম হল না এ বছরও। রবিবার আলিপুর চিড়িয়াখানা চত্বরে এরকমই নতুন তিন সংযোজনের কথা ঘোষণা করলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বন প্রতিমন্ত্রী তথা দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুও। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিস সামন্ত।
এবারের শীতের কী কী নতুন থাকছে আলিপুর চিড়িযাখানায়? মন্ত্রী জানান, অন্যান্য রাজ্যের চিড়িয়াখানার আদলে নিশাচর প্রাণীদের জন্য গত বছর থেকেই বিশেষ ভাবনা শুরু হয়েছিল। সমস্ত নিশাচর প্রাণীদের যাতে আলাদা করে স্বাচ্ছন্দ্যে ভাবে রাখা যায় এবং মানুষও যাতে সহজে দেখতে পান, তার জন্যে গণ্ডারের ঘরের উলটো দিকে লম্বায় ৬০ ফুট এবং চওড়ায ৪০ ফুটের একটি ঘরকে বিশেষ ভাবে নিশাচরদের জন্য তৈরি করা হচ্ছিল। সেই প্রকল্পে খরচ হযেছে মোট ২০ লক্ষ টাকা। সেই নিশাচর প্রাণীদের ঘর রবিবার থেকে খুলে দেওয়া হল জনসাধারণের জন্য। তবে দর্শকদের ঢোকা ও বেরোনোর রাস্তা প্রাণীদের সুবিধার জন্য অন্ধকার করা থাকবে। এই বাড়িটিতে থাকবে শজারু, বিরল প্রজাতির প্যাঙ্গোলিন, স্নো লরিস প্রজাতির প্রাণী, বিরল প্রজাতির পেঁচা। প্রত্যেক ঘরের সামনে কাচের মাধ্যমে প্রাণীদের দেখতে পারবেন দর্শকরা। তবে ছবি তোলা এই বাড়িটিতে নিষিদ্ধ থাকবে।
ছবি: সিংহশাবক।
এছাড়া চিড়িযাখানাতেই বড় হয়ে ওঠা সাত মাস বয়সী দুই মেয়ে সিংহশাবককে এদিন ছাড়া হল এনক্লোজারে। ওই সিংহশাবক দুটির নাম দেওয়া হয়েছে, ইশা এবং নিশা। এছাড়া ছাড়া হয়েছে আফ্রিকা থেকে আনা ঢোল প্রজাতির ৪টি জংলি কুকুর। এদের পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, তামিলনাড়ু এবং ভারতের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে পাওযা যায়।
ছবি: জংলিকুকুর।
একই সঙ্গে মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, বনদফতরের তরফে পরিবেশ বাঁচানোর জন্য দুটো উদ্যোগ নেওযা হয়েছে। চিড়িয়াখানা চত্বরে রাখা হয়েছে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং মেশিন। এতে যে কোনও রকম প্লাস্টিক বোতল বা প্যাকেট দিলে তা ক্রাশ হয়ে যাবে। এছাড়াও বন দফতরের তরফ থেকে ২০২০-র শুরু থেকে ব্যাপক হারে নগরের বিভিন্ন এলাকায় সবুজায়নের পরিকল্পনাও ঘোষণা করেন বনমন্ত্রী।