রেশন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে মেজিয়ায় গ্ৰামবাসীদের ক্ষোভের মুখে জেলা খাদ্য নিয়ামক সহ দপ্তরের কর্মীরা

আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১১ ফেব্রুয়ারি: রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে গ্ৰামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন জেলা খাদ্য নিয়ামক সহ দপ্তরের কর্মীরা। আজ মেজিয়া ব্লকের রামকৃষ্ণ পুরে এই ঘটনা ঘটে। রেশন কার্ডের শ্রেণি বিন্যাস হয়ে অন্তোদ্যয় শ্রেণির কার্ড হয়েছে। এই শ্রেণি বিন্যাস হয়েছে কারো ২০১৭ সালে, কারো ২০১৮, তো কারো ২০১৯ সালে। কিন্তু এই কার্ডে নির্দিষ্ট রেশন দ্রব্য পাচ্ছেন না উপভোক্তারা। ফলে ডিলারকে অভিযুক্ত করে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ঘেরাও করেন উপভোক্তারা। ঘটনাটি ঘটে ৮ ফেব্রুয়ারি মেজিয়া ব্লকের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে।

শনিবার সেই রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে উপভোক্তাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন জেলা খাদ্য নিয়ামক সহ ওই দপ্তরের কর্মীরা। গত মঙ্গলবার মেজিয়ার ওই গ্রামে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের খাদ্য দ্রব্য সরবরাহ করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়েন দায়িত্বপ্রাপ্ত রেশন ডিলার নবকুমার পাল। বরাদ্দকৃত রেশনদ্রব্য দীর্ঘদিন ধরে তিনি উপভোক্তাদের দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলে তাকে আটকে রাখা হয়। পরে মেজিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই রেশন ডিলারকে উদ্ধার করে।

ডিলার নবকুমার পাল বলেন, রেশন কার্ড পরিবর্তন হলেও সেই কার্ডের মাল খাদ্য দপ্তর থেকে দেওয়া হয় না। তাই আমি দিতে পারি না। কিন্তু উপভোক্তারা দাবি করছেন, আমি নাকি তাদের প্রাপ্য রেশন কালো বাজারে বিক্রি করছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি করেন নবকুমার পাল। শনিবার ওই ঘটনার তদন্তে রামকৃষ্ণপুর গ্রামে যান বাঁকুড়া জেলা খাদ্য নিয়ামক শেখ আলিমুদ্দিন সহ অন্যান্যরা। আর তাঁদের হাতের কাছে পেয়ে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানান গ্রামবাসীদের একাংশ।

গ্রামবাসী জয়চাঁদ হালদার বলেন, খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা আমাদের অভিযোগ শুনেছেন। এই ধরণের ‘ভুলে’র দায় যে খাদ্য দপ্তরের তা আধিকারিকরাও এড়াতে পারেন না।

জেলা খাদ্য নিয়ামক শেখ আলিমুদ্দিন বলেন, ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। এখন অভিযুক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে ‘বিভাগীয় তদন্ত’ হবে। তবে রেশন কার্ডে যে সমস্ত ভুল ছিল তা সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে। এবার থেকে নির্দিষ্ট কার্ড অনুযায়ী রেশন দ্রব্য পাওয়া যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *