আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৬ জুন: কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় বাসুদেবপুর থানার অন্তর্গত মুকুন্দপুর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। রবিবার রাতে মা ও মেয়ে শঙ্করপুরে এক সোনার দোকানে গিয়েছিলো। সোনার দোকান থেকে ফেরার পথে মা কিছুটা এগিয়ে যায় এবং মেয়ে পিছিয়ে যায়। অভিযোগ, সেই সময় দুষ্কৃতী হিসেবল পরিচিত এলাকার দু’জন ছেলে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ধর্ষণ করে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে জঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখে এবং তার বাড়ির লোককে খবর দিলে তারা এসে
মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
অভিযোগকারীর দাবি, স্থানীয় আলম মন্ডল এবং আরাফত মন্ডল এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের আরো অভিযোগ পরিবারের লোক যখন তাদের মেয়েকে উদ্ধার করতে যায় তখন এই দুই অভিযুক্তের সঙ্গে বচসায় জরায় নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। এমন কি ছুরি দিয়ে নিগৃহীতার কাকাকে আঘাত করে অভিযুক্তরা। এরপর পরিবারের লোকজন বাসুদেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সোমবার ভোররাতে বাসুদেবপুর থানার পুলিশ এই ঘটনায় অভিযুক্ত আলম মন্ডল ও আরাফাত মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে।
এদিন নির্যাতিতার পরিবারের লোক পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ওই শঙ্করপুর এলাকায় প্রায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, কিন্তু পুলিশ সেই ভাবে কোনো দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করছে না। আমরা বিচার চাই। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি করছি।”
তবে এই ঘটনায় আর কারা কারা জড়িত তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বাসুদেবপুর থানার পুলিশ।