আশিস মণ্ডল, সিউড়ি, ১০ মার্চ: তৃণমূলের আদলে এবার ভূতুড়ে ভোটার ধরতে আসরে নামল বিজেপি। একই বুথে ১৭জন ভূতুড়ে ভোটার ধরে সোমবার বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের বিডিও রাজা আদকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিল সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি মোতাহার খান। বিজেপির দাবি, ১৭জনই তৃণমূল সমর্থক।
প্রসঙ্গত, কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে ভূতুড়ে ভোটার ধরতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ পেয়ে ময়দানে নামে তৃণমূল। পাশাপাশি বিজেপিও একই অভিযান শুরু করেছে। তদন্তে নেমে লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘাটগোপালপুর বুথে ১৭জন ভূতুড়ে ভোটারের নাম উদ্ধার করেছে বিজেপি। নিজের বুথের পাশাপাশি তাদের নাম রয়েছে ঝাড়খণ্ড, বীরভূমের সিউড়ি, বোলপুর বিধানসভা এলাকায়।
বিজেপির দুবরাজপুর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি শম্ভুনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল ভুয়ো ভোটার খুঁজতে লোক হাসাচ্ছে। একটি বুথে ওদেরই ১৭টি ভূতুড়ে ভোটার। বাংলায় ওই রকম ৪০ লক্ষ ভূতুড়ে ভোটার আছে। ওই ভূত তাড়ালেই বিজেপি সর্বত্র জিতবে। বিষয়টি জানিয়ে দুবরাজপুর ব্লকের নির্বাচন আধিকারিক, তথা বিডিওকে জানিয়েছি।”
বিজেপির বীরভূম জেলা সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি মোতাহার খান বলেন, “২০২৪ সালে আমি ওই সমস্ত ভোটারের নাম লিখিত আকারে বাদ দেওয়ার জন্য বিডিওকে জানিয়েছিলাম। এবার ভুয়ো পরিচয়পত্রের নম্বর পর্যন্ত দিলাম। এরপরেও যদি নাম বাদ না যায় তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।”
তৃণমূলের কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির কোনো কাজ নাই। তাই নানা রকম ভাবে উস্কানি দিয়ে বেড়াচ্ছে। ভোটার তালিকায় দুই জায়গায় বা তিন জায়গায় নাম থাকলে নিয়মমাফিক তা বাদ দেওয়া হবে। ওই কাজ করতেই আমরা হাত লাগিয়েছি। আমাদের কর্মীরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে কাজ শুরু করেছেন। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দফায় দফায় আলোচনা করে কর্মীদের চাঙ্গা করতে আরও বেশি করে ভুয়ো ভোটার তালিকা তৈরি করে জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন। ইতিমধ্যে ওই সমস্ত তালিকায় নাম জমাও হয়েছে।“
দুবরাজপুর ব্লকের বিডিও রাজা আদক বলেন,“বিজেপির পক্ষ থেকে লিখিত আকারে আমাকে জানানো হয়েছে। সিউড়ি, বোলপুর ও ঝাড়খন্ডে ভোটার তালিকায় কিছু লোকের নাম আছে বলে জানিয়েছে। আমরা তাদের এপিক নম্বর ধরে তথ্য সংগ্রহ করছি। ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি করতে সব রকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”