Jharkhand government, Jairam Ramesh, ঝাড়খণ্ডে বিধায়ক কেনাবেচার চেষ্টা চলছে: জয়রাম রমেশ

আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ২ ফেব্রুয়ারি: “ইণ্ডিয়া জোট বিধানসভার জন্য নয়, লোকসভা নির্বাচনের জন্য। বিজেপির শাসনে গণতন্ত্র ও সংবিধান সুরক্ষিত নয়, তাই ২৭টি দল একসঙ্গে লোকসভায় লড়াই করবে৷” ঝাড়খণ্ডে ভারতজোড়ো যাত্রা প্রবেশ করার আগে মাড়গ্রাম থানার স্বাদীনপুর গ্রামের কাছে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা বললেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।

শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে মুর্শিদাবাদ হয়ে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রার কনভয় বীরভূমের তারাপীঠ থানার মাজিপাড়ায় ঢোকার কথা ছিল। কিন্তু এদিনই শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার অনুমতি দেয়নি বীরভূম জেলা পুলিশ। অনুমতি ছাড়াই তারাপীঠ থেকে মুরারই থানার রাজগ্রাম পর্যন্ত ন্যায় যাত্রা কর্মসূচি করে কংগ্রেস৷ ফলে পরীক্ষার দোহাই দিয়ে রাহুলের কনভয় মুর্শিদাবাদ থেকে দেড়ঘণ্টা দেরিতে বীরভূমে ঢোকে। দেরিতে যাত্রা শুরু হলেও কোথাও তাঁর কনভয়কে দাঁড়ানোর সুযোগ দেয়নি পুলিশ।

কংগ্রেসের দাবি, পরীক্ষার অজুহাত, এমনকি মালদা, শিলিগুড়িতেও রাহুল গান্ধীর ভারতজোড়ো যাত্রার অনুমতি ছিল না৷ কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি মিলটন রসিদ বলেন, “মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কোনো রকম অসুবিধা আমরা করব না বলে আগেই আমরা লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম। তারপরও পুলিশ আমাদের পদে পদে বাধার সৃষ্টি করেছে। পুলিশ শুধুমাত্র তৃণমূলের কোনো কর্মসূচি ছাড়া বাকি কোনো দলের কর্মসূচিতে অনুমতি দেয় না৷”

এদিন ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে মাড়গ্রাম থানার স্বাদীনপুর গ্রামের কাছে রাহুল গান্ধীর মধ্যাহ্ন ভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে রাহুল গান্ধী কিংবা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী মুখ খুলতে চায়নি। সাংবাদিক সম্মেলন করেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তিনি বলেন “ঝাড়খণ্ডে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ‘অপারেশন লোটাস’ করতে চাইছে। ইণ্ডিয়া জোট লোকসভা নির্বাচনের জন্য৷ কোনো রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য নয়৷ যেমন- কেরলের বিধানসভা নির্বাচনে ইণ্ডিয়া জোট থাকবে না৷ কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনে আমরা ২৭টি রাজনৈতিক দল এক হয়ে লড়ব। আমরা দেশের একমাত্র দল যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ, কোনো ভাবেই বিজেপির সঙ্গ দিইনি৷”

সদ্য গ্রেপ্তার হয়েছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন। নতুনভাবে সরকার গঠন নিয়ে টালবাহানা চলছে সেখানে৷ সেই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, “বিহারে রাতারাতি সরকার হয়ে যাচ্ছে। আর ঝাড়খণ্ডে দেরি হচ্ছে৷ যেখানে আমরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠ৷ তাও দেরি করছে। এর কারণ স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সময় চাইছেন যাতে ব্যবসা করতে পারেন৷ এটার নাম ‘অপারেশন লোটাস’। ওরা এখানে বিধায়ক কেনাবেচা করে সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *