সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২ ফেব্রুয়ারি: বাঁকুড়া জেলার হাতি উপদ্রুত এলাকায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য যানবাহনের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বনবিভাগ।মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনেই প্রায় ৪০টি গাড়ির সাহায্যে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া এবং বাড়িতে পৌছে দেওয়া হয়।
এদিনই উত্তর বন বিভাগের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা ইঙ্গিত পেয়ে যায়, জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে যেতে গেলে বন দফতরের সহায়তা ছাড়া সম্ভব নয়। কেননা আজই কাক ভোরে হাতির আক্রমণে এক ব্যক্তি গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরপর থেকেই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য তাদের সর্বোত ভাবে অভয় দিয়ে স্বয়ং বন মন্ত্রকের চিফ কনজারভেটিভ অফ ফরেষ্ট এস কুনাল ডাইভাল ও বাঁকুড়ার ডিএফও উমর ইমাম পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন।
জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলির পরীক্ষার্থীদের জন্য ৪০টি গাড়ি ভাড়ায় নিয়েছেন বলে জানান এস কুনাল ডাইভাল। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো পরীক্ষার্থীদের যাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর অসুবিধা না হয়সেদিকে নজর দেওয়া হয়। তিনি জানান, ১৪টি কেন্দ্রে ছাত্র ছাত্রীদের বন দফতরের গাড়ি করে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া এবং পরীক্ষা শেষে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। জঙ্গলের রাস্তায় প্রচুর হুলা পার্টি ও ঐরাবত গাড়ি নজরদারি চালিয়েছে। প্রথম দিনের মত বাকি পরীক্ষার দিনগুলিতেও একই ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান ডিএফও উমর ইমাম।
অন্যদিকে এদিন একটি বুনো হাতির হামলার মুখে পড়েন এক ব্যক্তি। ঘটনা বড়জোড়া রেঞ্জ এলাকার শীতলা বিটের খাঁড়ারি গ্রামের। এদিন ভোরে ঘন কুয়াশার তোয়াক্কা না করে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন গৌতম মণ্ডল(৫৫) নামে এক ব্যক্তি।
গুরুতর জখম ওই ব্যক্তির প্রতিবেশী দীপক মন্ডল বলেন, গৌতম মণ্ডল প্রতিদিন প্রাতঃভ্রমণে বের হন। এদিন ভোরে ঘন কুয়াশার মধ্যেই বেরিয়ে যান। জামবেদিয়া-শীতলা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবার সময় গ্রামের ফুটবল মাঠের কাছে একটি ‘দলছুট’ দাঁতালের সামনে পড়ে যান। মুহূর্তের মধ্যে ওই হাতিটি তাকে বেশ কিছুটা তাড়া করার পর শুঁড়ে পেঁচিয়ে মাটিতে ফেলে ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে যায়। প্রায় ১৫- ২০ বার গড়িয়ে নিয়ে যাবার পর শুঁড় দিয়ে ধরে ছুঁড়ে দেয়। জখম হলেও জ্ঞান হারাননি। মোবাইলে দীপক বাবুকে ঘটনার কথা জানান। তারপরই তাকে উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান।
ছবি: ফাইল থেকে