আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২ সেপ্টেম্বর: আরজিকর হাসপাতালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জলপাইগুড়িতে বিজেপির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। জেলাশাসকের দফতরে যাওয়ার আগেই আন্দোলনকারী বিজেপি নেতা কর্মীদের লোহার ব্যারিকেড আটকে দিল পুলিশ। সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হলেন
বিজেপি নেতা কর্মীরা।
উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়, নাগরাকাটার বিধায়ক পুনা ভেংরা, বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী, বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পলেন ঘোষ, বিজেপির জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ, বিজেপি নেতা সৌজিত সিংহ সহ অনেকে। সোমবার শহরের কংগ্রেস পাড়া থেকে মিছিল শুরু হয়। শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে বাবু পাড়া জেলা তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে নিয়ে জেলাশাসক দফতরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় মিছিল। মিছিলের স্লোগান ছিল দফা এক দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেডের দড়ি খুলে দেওয়া হয়। মিছিল থেকে জলের বোতল ছোঁড়া হয় পুলিশকে। ধাক্কাধাক্কি করে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন বিজেপির নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা। এরপর সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করল বিজেপি।
পুলিশের উদ্দেশ্যে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামীর হুঁশিয়ারি, “আমরা শৃঙ্খলা পরায়ণ দল। আজ ট্রেলার দেখালাম। পুলিশ না শুধরালে এরপর থানায় গিয়ে ভাঙ্গচুর করবো।”
সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, খুনি আসামীদের যেভাবে রাজ্য সরকার আড়াল করছে। তার প্রতিবাদে আজ আন্দোলন। এতদিন দেখছি বাঁশের ব্যারিকেড। আজকে দেখছি লোহার ব্যারিকেড। আমাদের আন্দোলন চলবে।”