আমাদের ভারত, ৫ মার্চ: দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে টানাপড়েন পৌঁছেছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় আইনজীবী বদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে বদলকে শুধু আইনি বা প্রশাসনিক দিকের বাইরে তৃণমূলের সর্বোচ্চ স্তরের সমীকরণের নিরিখেও দেখছেন অনেকে।
গত বছর জুন মাসে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকারের শপথ-জট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ চার জনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী হিসাবে হাইকোর্টে নথিভুক্ত ছিল সঞ্জয় বসুর নাম। কিন্তু বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে ফক্স অ্যান্ড মণ্ডল নামের সলিসিটর সংস্থা জানিয়েছে, মমতার বিরুদ্ধে করা রাজ্যপালের মামলায় তারা মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে সওয়াল করবে।
আইনজীবী সঞ্জয় বসুর বদলে মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে মামলা লড়বেন বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের এজলাসে এমনটাই জানিয়েছে ফক্স অ্যান্ড মণ্ডল সলিসিটার সংস্থা। এদিন কল্যাণ এজলাসে উপস্থিতও ছিলেন। তবে মামলার শুনানি হয়নি।
নথিপত্র দিয়ে সলিসিটর সংস্থার তরফে আদালতকে বলা হয়েছে, তাদের নোটিস না দিয়ে (অর্থাৎ, তাদের না জানিয়ে) আদালত যেন কোনও পদক্ষেপ না করে।
লোকসভা ভোটের সঙ্গেই বাংলায় দু’টি আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন হয়েছিল। সেই ভোটে বরাহনগর এবং ভগবানগোলা থেকে জিতেছিলেন যথাক্রমে তৃণমূলের সায়ন্তিকা এবং রায়াত। শপথ-জটিলতা নিয়ে রাজ্যপালের সমালোচনা করেছিলেন মমতা, সায়ন্তিকা, রায়াত এবং তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। ওই চার জনের নামেই মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল বোস।
হাইকোর্ট সূত্রের খবর, সেই মামলায় সপ্তাহ দেড়েক আগে রাজ্যপালের তরফে পৃথক একটি হলফনামা দাখিল করা হয়েছে। যদিও রাজভবনের তরফে সরকারি ভাবে এ নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
সূত্রের খবর, রাজভবনের সেই দৌত্যের পরেই নির্দিষ্ট এই মামলায় আইনজীবী বদলের পথে হাঁটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।