আমাদের ভারত, ১২ অক্টোবর: হিন্দু তরুণীদের অপহরণ জোর করে ধর্মান্তকরণের পর বিয়ে। গত ১৫ দিনে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে এমন চার চারটি ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এর আগেও এমন ঘটনায় পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগকারী পরিবারের সদস্যরা কোনো সুবিচার পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এবারেও ঠিক একই রকম ঘটনা ঘটেছে।
সিন্ধ প্রদেশের হায়দারাবাদের ফতেচক এলাকা থেকে চন্দ্রা মেহরাজ নামে এক কিশোরীকে সোমবার অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। তাকে জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ করা হয়েছে পরিবারের তরফে। যদিও পুলিশ তার হদিশ পায়নি।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর সিন্ধ প্রদেশের মিরপুর এলাকার বাসিন্দা মিনা মেঘ ওয়ার নামে ১৪ বছরের এক হিন্দু কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে জোর করে বিয়ে করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তার আগে ওই এলাকারই রাখি কুমারী নামে এক তরুণী গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তকরণ বিয়েতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মিনার বাবা এবং রাখির স্বামী পুলিশের কাছে গেলেও কোনো সুরাহা হয়নি, কারণ পুলিশ যুক্তি দিয়েছিল মিনা এবং রাখি স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে ধর্মান্তরিত হয়েছেন।
মাস কয়েক আগে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের দুই হিন্দু নাবালিকা বোনকে অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করে জবরদস্তি বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় এক মুসলিম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।
পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের সংগঠনের অভিযোগ বারবার এই ঘটনা ঘটলেও নীরব থাকে পুলিশ প্রশাসন।পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মাত্র সাড়ে তিন শতাংশ। সম্প্রতি একটি পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল মুসলিম মৌলবাদীদের ধারাবাহিক আক্রমণের শিকার হচ্ছেন পাক সংখ্যালঘুরা। শুধু সিন্ধের হিন্দুরা নয়, পাক পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনওয়াইয়ের তরুণীদের অপহরণ এবং ইসলামে ধর্মান্তর ঘটনাও সাম্প্রতিক সময় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি কয়েক বছর আগে নানকানা সাহিব শহরের তাম্বু সহিব গুরদ্বার গ্রন্থি থেকে তরুণীকে অপহরণ করে ধর্মান্তকরণের পর বিয়ে করেছিল স্থানীয় এক মুসলিম যুবক। গত আগস্টে খাইবার পাখতুনখোয়ার এক শিখ শিক্ষিকার সাথেও একই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।