আমাদের ভারত, ৩ ডিসেম্বর: একদিকে বাংলাদেশে কট্টরপন্থী মুসলমানদের হাতে অত্যাচারিত হচ্ছে হিন্দু সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু নাগরিকরা। সেই আবহেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের অবাধ অনুপ্রবেশ করতে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ তুললেন রাজ্যসভা বিজেপির সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে তিনি অভিযোগ করেন, কলকাতা লাগোয়া বিধান নগর বা সল্টলেকে সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স নামে যে পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে তার সীমানা পাঁচিল ঘেঁষে বেশ কিছু লোকজন বেআইনিভাবে বসবাস শুরু করেছে।
শমীকবাবুর অভিযোগ, যারা ওখানে দল বেঁধে পরিবার নিয়ে থাকছে তারা কেউ ভারতীয় নয়, তারা কিছুজন বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী ও বড় অংশে মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সব জেনেও এই অনুপ্রবেশকারীদের সেখান থেকে হটানো বা তাদের পাকড়াও করার কোনো চেষ্টাই করছেন না বলে অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ। তাঁর দাবি,পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল সরকার কেবলমাত্র ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে এই অনুপ্রবেশকারীদের অবাধে দেশের অভ্যন্তরে ঢুকতে দিচ্ছে। ফলে অনুপ্রবেশকারীরা পশ্চিমবঙ্গ তথা সারা ভারতের কাছে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও আধিকারিকরা বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ পারমাণবিক শক্তি প্রতিষ্ঠান বা সেই সংক্রান্ত কোনো গবেষণা কেন্দ্র আদতেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল একটি স্থান। তার আশপাশে যদি অনুপ্রবেশকারীরা ঘাঁটি গাড়ে তাহলে তার ফল মারাত্মক হতে পারে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তরফে প্রতিনিধিরা একাধিকবার স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন, কিন্তু তাদের সেই অভিযোগ পুলিশ প্রশাসন সেভাবে কর্ণপাত করেনি বলে রাজ্যসভায় দাবি করেন বিজেপি সংসদ।
তাঁর তোলা এই অভিযোগ শুনে সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যসভার ভেতরে হট্টগোল শুরু করে দেন তৃণমূলের সংসদরা। তারা অভিযোগ করেন, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করছেন বিজেপি সাংসদ। শ্রমিক ভট্টাচার্য পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তৃণমূল সাংসদদের জানান, তার কাছে এই অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ আছে। চাইলে সে প্রমাণও প্রকাশ করতে পারেন তিনি।
কিন্তু তৃণমূল সাংসদরা সে সব শোনার কোনো আগ্রহ দেখানি। বদলে তারা শমীকের মন্তব্যের প্রতিবাদে সভা কক্ষ ত্যাগ করেন।
রাজ্যসভায় এই বক্তব্যের অংশটুকুর ভিডিও ক্লিপিং নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন শমীক ভট্টাচার্য। তিনি লিখেছেন, “আমাদের রাজ্যে গুরুতর ঘটনা ঘটে চলেছে, আর রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন চোখ বুজে বসে আছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও গভীর উদ্বেগের বিষয়।