সায়ন ঘোষ, আমাদের ভারত, বনগাঁ, ২ এপ্রিল: লকডাউন শিকেয় তুলে গায়ে গা লাগিয়ে বাজার হাট। যতক্ষণ না সূর্য মাথার উপরে উঠছে, রাস্তাঘাট এক রকম গমগমই করছিল। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর সহ বনগাঁ শহর ও গ্রামে একই চিত্র। বাজারে সবজি বিক্রেতাদের মাস্ক বিলি করতে গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়ায় মাথায় হাত বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিত দাসের। বাধ্য হয়ে জনবহুল বাজারে চিৎকার শুরু করেন। এরপর বাজার কমিটির সম্পাদক ও কর্মকর্তাদের বলেও কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে মহকুমা শাসক, বিডিও, ও থানার ওসিকে জানান তিনি। বিশ্বজিত বাবু বলেন, যে কোনও মুহুর্তে এই এলাকায় মহামারীর আকার নিতে পারে।
এদিন গোপালনগর হাট, আকাইপুর সবজি বাজার, মেদিয়া সবজি বাজার সহ ধর্ম পুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত গিয়ে দেখা যায় জনজোয়ার। এছাড়া ওই এলাকায় দোকানপাট ছিল অন্য দিনের মতোই খোলা। ভ্যান টোটো করে অনককেই বেরতে দেখা যায়। বাজারে বেশ ভিড় ছিল। একে অপরের মধ্যে যে দূরত্ব রাখা দরকার, সেই লক্ষ্মণরেখা না মেনেই গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বাজার করেছেন অনেকে। রাস্তায় বহু লোককে পাশাপাশি যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে। বারণ করার কেউ ছিলেন না। জেলার প্রায় সব জায়গা থেকেই শোনা গিয়েছে, পুলিশ ছিল, কিন্তু নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে থেকেছে।
এই ব্যপারে বিশ্বজিত দাস বলেন, এই এলাকায় এক জনের মধ্যে যদি করোনা ভাইরাসের সংক্রামন থাকে তা হলে প্রতি ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পরবে সংক্রমন। বারবার প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন মেনে চলতে বলছে সেখানে এই ভাবে মানুষ চলাফেরা করছে। পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে চীন বা ইতালি মতো ভয়াবহ আকার নেবে। যদিও এই দৃশ্য দেখে প্রশাসনিক কর্তারা মুখে কুলুপ এটেছে।