আমাদের ভারত, ১২ এপ্রিল: হিন্দুরা কোনো দাঙ্গা করে না, বদমায়েশি করে না, ওরা শান্ত, যদি হিন্দুরা লাঠিসোঁটা নিয়ে রাস্তায় নামে তবে সামলাতে পারবে তো?
ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদে বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতার ঘটনায় এই মন্তব্য করেছেন সুকান্ত মজুমদার। ওই ঘটনায় নওশাদ সিদ্দিকীর একটি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘মুর্শিদাবাদে যারা নেমেছে তারা ১৪-১৫ বছরের বাচ্চা। কয়েক হাজার লোক নেমেছে। এটা মোটেই কিছু লোক নয়। নওশাদ সিদ্দিকীর উচিত স্পষ্টভাবে এই ঘটনার নিন্দা করা।
হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে শনিবার পানীহাটির এইচ.বি. টাউন এলাকায় হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়ে এই মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির রাজ্যের সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘মুর্শিদাবাদে যেটা ঘটেছে সেটা কোনো আন্দোলন নয়, একটা দাঙ্গা। প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ। দাঙ্গাকারীরা থানার উল্টো দিকেই একটি বড় হল ঘরে অস্ত্রশস্ত্র মজুদ রেখেছে। পুলিশও ঘটনাটি জানে।’
তাঁর অভিযোগ, ‘শাসক দলের মদদেই এই ঘটনা ঘটছে। তার কারণ ২০২৬- ‘এর নির্বাচনে মুসলিম ভোট একত্রিত করার জন্য। কারণ মুসলিমরা একত্রিত হয়ে পুনরাইজ ভোট করে হিন্দুরা সেটা করে না। এটা হিন্দুদের দুর্বলতা। তবে মমতা ব্যানার্জি যদি ভাবেন এভাবে হিন্দুদের দমিয়ে রাখব, তবে আগামী দিনে শান্তিপ্রিয় হিন্দুরা বাধ্য হবে আইন তাদের নিজেদের হাতে তুলে নিতে। তখন আর সেটা থামাতে পারবে না। আমরা হয়তো মুর্শিদাবাদে কম আছি, কিন্তু নদিয়াতে আমরা আছি। আমরা যদি শিবের তাণ্ডব নৃত্য শুরু করি….’
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। আমাদের অনুরোধ ছিল বিএসএফ নামানোর, সেটাও নামানো হয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
কলকাতার মৌলালি এলাকায় বাস থেকে গেরুয়া পতাকা খুলে নেওয়া নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ভগবান রামচন্দ্রের ছবি দেওয়া পতাকা খুলে ফেলা হয়েছে, তারই প্রতিবাদে আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছি এবং প্রত্যেকটি বাড়িতে অনুমতি নিয়ে আমরা গেরুয়া পতাকা লাগিয়ে দিচ্ছি। কারণ রাজ্যের মানুষ বুঝতে পেরেছে এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দিনে এরাজ্য পশ্চিমবাংলাদেশে পরিণত হবে।’