সীমা হায়দারকে পাকিস্তানে না পাঠালে ২৬/১১ ধাঁচে হামলা হবে, হুমকি ফোন এলো মুম্বাই পুলিশের কাছে

আমাদের ভারত, ১৪ জুলাই: প্রেমের টানে পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে এসেছিলেন সীমা হায়দার। কিন্তু এবার তার জন্য মুম্বাই পুলিশের কাছে এলো হুমকির ফোন।
জানাগেছে, বৃহস্পতিবার মুম্বই পুলিশের কন্ট্রোল রুমে একটি হুমকির কল আসে, সেখানে পাকিস্তানি নাগরিক সীমা হায়দার পাকিস্তানে না ফিরলে ২৬/১১ ধাঁচের জঙ্গি হামলার জন্য প্রস্তুত থাকার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মুম্বাই পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে যে ফোন করেছিল সে ২৬/১১ এর মতো সন্ত্রাসী হামলার জন্য প্রস্তুত হবার হুমকি দিয়েছিল এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ঘটনার জন্য দায়ী করেছিল। মুম্বাই পুলিশের কন্ট্রোল রুমে এই ধরনের অনেক কল আসে। ফলে পুলিশ এখন তদন্ত করছে যে কলটি এসেছে সেটা আসল না জাল।

পাকিস্তানি মহিলা সীমা হায়দার অনলাইন গেম পাবজি খেলতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের নয়ডার বাসিন্দা শচীন সিংয়ের প্রেমে পড়ে। এরপর পাকিস্তান থেকে পালিয়ে নেপাল হয়ে ভারতে ঢোকে সীমা। ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে সীমা হায়দারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিল শচীন এবং তার বাবাও। যদিও আদালত থেকে তারা জামিন পেয়েছেন। ভারতে এসে বর্তমানে সীমা শচীনের বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে থাকছেন। পাকিস্তানে তাকে ফেরত পাঠানো হলে জীবনের বিপদের কথাও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে সীমার প্রথম স্বামী ভারত সরকারের কাছে তার স্ত্রী ও সন্তানদের ফেরত পাঠানোর আর্জি জানিয়েছেন। এই আর্জির জবাবে সীমা বলেছেন, তাকে পাকিস্তানে ফেরানো হলে সেখানেই তাকে হত্যা করা হবে। তিনি বলেছেন, তিনি নিজের ইচ্ছায় হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে শচীনকে বিয়ে করেছেন।

শচীন বলেছেন, তারা দুজনেই ২০১৯ সালে পাবজি খেলার মাধ্যমে একে অপরের ঘনিষ্ট হয়েছিলেন। তিন বছরের সম্পর্কের পর চার সন্তানের হাত ধরে পাকিস্তান ছেড়ে পালিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন সীমা। নেপাল হয়ে গোপনে ভারতের ঢুকেছিলেন তিনি। ভারতে এসে দুজনে বিয়েও করেন। মে মাসে ভারতে এসেছিলেন সীমা। বেশ কিছুদিন লুকিয়ে থাকার পর ৪ জুলাই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

জেল থেকে বেরিয়ে সীমা জানিয়েছিলেন, তিনি আর পাকিস্তানে ফিরতে চান না। ভারতেই থেকে যেতে চান। নিজেকে ভারতীয় বলেও দাবি করেছেন সীমা। তিনি জানিয়েছিলেন, অন্তর থেকে তিনি ভারতীয় সংস্কৃতি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে ফেলেছেন। শচীনের পরিবারের কথা ভেবে নিরামিষ খেতেও শুরু করেছেন সীমা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *