রাজ্যে ধর্ষণ বন্ধ না হলে আমরা ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেবো, হুঁশিয়ারি অগ্নিমিত্রা পালের

আমাদের ভারত, বর্ধমান,২৮ নভেম্বর:
আমার বিরুদ্ধে এফ আই আর করে থামানো যাবে না। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমরা ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেবো। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নিগৃহীতাকে দেখতে এসে এই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।

শনিবার বর্ধমানে এসে অগ্নিমিত্রা বলেন, দুর্গাপুরে বুদবুদে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সেখানকার গ্রাম প্রধানের ছেলে পাপাই ঘোষ ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে। শোনা যাচ্ছে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু আমার খুব সন্দেহ সে কতদিন অ্যারেস্ট থাকবে। কারণ সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নামে এফআইআর করতে পারেন কারণ আমি মহিলাদের উপর ধর্ষণের প্রতিবাদ করছি। আমি খুশি হতাম যারা ধর্ষণ করে রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে এরকম এফআইআর যদি করা হতো। আমরা দেখতে পাচ্ছি যাকে অ্যারেস্ট করা হয় ক’দিনের মধ্যে তাকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। চার্জশিটে তাদের কেসটা লঘু করে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি জামিন পেয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরে নারীদের উপর তারা চাপ সৃষ্টি করছে বয়ান বদলে দেওয়ার জন্য। এমনকি সেই মহিলাকে ফের ধর্ষণ করা হচ্ছে। এই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা।

অগ্নিমিত্রা বলেন, প্রতিবাদ করতে গেলে আমার নামে এফআইআর করা হচ্ছে। কিন্তু দিদিমণি যদি ভাবেন আমার উপর কেস দিয়ে কিংবা আমার মহিলা মোর্চার মেয়েদের উপর কেস দিয়ে আমাদের আটকাতে পারবেন তা কিন্তু পারবেন না। কারণ আজকে ১০ বছর ধরে মহিলাদের উপর যে অত্যাচার করা হচ্ছে সেটাতে উনি কোনও প্রতিবাদ করেনি, কোনও ব্যবস্থাও নেননি। আজকে দিনের পর দিন ধর্ষণ হচ্ছে, গ্রামেগঞ্জে মহিলাদেরকে অত্যাচার করা হচ্ছে। কারণ ধর্ষকদের কোনো শাস্তি নেই, কোনও বিচার নেই। থানায় গেলে বলা হচ্ছে মিউচুয়াল করে নাও এবং সেই ঘটনায় তৃণমূলে কোনও কর্মী বা দলের কেউ যুক্ত থাকে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে টাকা-পয়সা নিয়ে ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলার জন্য। কেস উঠিয়ে নেওয়ার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী নিজে মহিলা। তার উচিত ছিল এই দশ বছরে দল-মত নির্বিশেষে কোনও কিছু না দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া।

তিনি বলেন, আজকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছি। এখানে একটা বিছানার মধ্যে একজন শুয়ে আছে আর বেডের তলায় ১২ ইঞ্চি জায়গার মধ্যে নিগৃহীতা মেয়েটি হাত-পা গুটিয়ে কোনওরকমে বসে আছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী গর্ব করে বলেন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খুব ভালো। তাহলে এরকম অবস্থা কেন। আপনি মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পারছেন না কেন? গ্রামে গ্রামে শহরে শহরে যে ঘটনাগুলি হচ্ছে এই ঘটনা যদি বন্ধ করা না যায় তাহলে যতই আমার বিরুদ্ধে এফআইআর করুন আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *