“বাংলায় আমাদের দলের সরকার ক্ষমতায় এলে বুঝতে পারবেন”, সংসদে সৌগত রায়কে পাল্টা দিলেন অমিত শাহ

আমাদের ভারত, ৬ ডিসেম্বর: ধর্মতলায় দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগেই বাংলা দখলের হুঙ্কার দিয়ে গিয়েছিলেন। এবার আবার সেই অমিত শাহের মুখে শোনা গেল বাংলা দখলের কথা। এবার একেবারে সংসদে দাঁড়িয়েই বললেন বাংলায় ক্ষমতা দখলের কথা। বুধবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে জম্মু-কাশ্মীর রিজার্ভেশন বিল ২০২৩ পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই নিয়ে বিতর্কের মধ্যে একাধিক প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, এই বিল কাশ্মীরের মানুষকে যোগ্য মর্যাদা দিয়েছে। একটা সময় সেখানে সন্ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তার এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তখন তৃণমূল সাংসদকে পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে বাংলায় ক্ষমতা দখলে প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আজ অমিত শাহ সৌগত রায়কে জবাব দিতে গিয়ে বলেন, বাংলায় আমাদের দলের সরকার ক্ষমতায় এলে বুঝতে পারবেন উন্নয়ন কিভাবে করতে হয়। তার আগে বুঝতে পারবেন না, জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়ন কিভাবে হয়েছে।

এদিন বিল পেশ করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পাক অধিকৃত কাশ্মীর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুকেই দায়ী করেন। তিনি বলেন, নেহেরুজির জন্যই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সমস্যা তৈরি হয়। না হলে এই অংশ কাশ্মীরের মধ্যেই থাকতো। নেহেরুজি এর জন্য দায়ী। তাঁর কথায়, “নেহেরুজি বলেছিলেন এটা তার ভুল। আমি বলব এটা ভুল নয়, সাংঘাতিক ভুল ছিল। দেশের এতখানি অংশ এভাবে হাতছাড়া হওয়া উচিত ছিল না।”

দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে অমিত শাহের এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করে লোকসভা থেকে ব্যাক আউট করেন বিরোধী সাংসদরা।

অমিত শাহ এদিন বক্তব্যের মাঝেই উল্লেখ করেন, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষরা পন্ডিত নেহেরুর দুটি সাংঘাতিক ভুলের খেসারত দিয়েছে। প্রথমতঃ যুদ্ধ বিরোধী ঘোষণা করা, দ্বিতীয়তঃ কাশ্মীর সমস্যাকে রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিয়ে যাওয়া। তিনি বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে স্থানান্তরিত একজন এবং কাশ্মীরি কমিউনিটি দু’জনের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হবে। এসসি ও এসটি’দের জন্য নয়টি আসন সংরক্ষিত হবে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায়।

তিনি আরো বলেন, ১৯৮০ সাল থেকে সন্ত্রাসের পরিবেশ ছিল কাশ্মীরে। নিজেদের মনে করে যারা সেখানে ছিলেন তাদের ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। আর যারা এর জন্য দায়ী তাদের ইংল্যান্ডে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। কাশ্মীরি পণ্ডিতরা সেখানে উদ্বাস্তুদের মতো থাকতেন। বর্তমানে ডেটা বলছে ৪৬ হাজার ৬৩১টি পরিবার এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৯৬৮ জন মানুষকে নিজেদের দেশ থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তার দাবি, এই বিল তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেবে। একই বিল তাদের পরিচিতি দেবে। আজ লোকসভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিলটি পাস হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *