সুশান্ত ঘোষ, বনগাঁ, ৭ এপ্রিল: কখনও কড়া ভাবে, কখনও আবার বুঝিয়ে লকডাউনে সকলকে ঘরে থাকার আবেদন করেছে এলাকার কয়েকজন যুবক। এবার বনগাঁর বাসিন্দাদের ঘরবন্দি রাখতে অন্য ফন্দি করলেন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর পল্লীশ্রী জয়মাতারা স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যারা। এদিন প্রায় তিন হাজার পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়ে, ঘোষণা করেন, গ্রামে করোনা প্রবেশ করতে না পারলে সব মহিলা পাবেন নতুন শাড়ি।
দেশ ও রাজ্যের পরিস্থিতি জানা সত্ত্বেও প্রতিদিনই কিছু মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছে। কেউ প্রতিদিনের অভ্যাসবশত ঢুঁ মারছেন চায়ের দোকানে। কেউ আবার লকডাউনকে ছুটি হিসেবে গণ্য করে হাজির হচ্ছেন বন্ধুদের মাঝে। আর কিছু মানুষ যাদের বের হতে হচ্ছে পেটের দায়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এরা জানেন না, এই মারণ ভাইরাস কতটা ভয়ঙ্কর। শুনছেন করোনার নাম, কিন্তু অনুমান করতে পারছেন না এর ভয়াবহতা। তাই নিয়মিত হাটে-বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
জয়মাতারা স্বনির্ভরগোষ্ঠী সদস্য সুজয় বিশ্বাস, অমিত সরকার, ঝন্টু বিশ্বাস, অজিত অধিকারী বলেন, আমারা পুজোর আগে বহু গরিব ছেলে মেয়েদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের হাতে নতুন পোশাক দেওয়ার পাশাপাশি দুপুরে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করি। এছাড়াও মাঝে মধ্যেই দুঃস্থ মানুষের সেবার কাজে অর্থ দান করা নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনার মধ্যে পড়ে। এলাকায় গরিব মানুষের মেয়ের বিয়ে হোক কিংবা কারোর শরীর খারাপ হোক না কেন। আমাদের সদস্যরা এলাকার মানুষের পাশে থাকে। লকডাউন যতদিন না উঠবে ততদিন আমারা এই সব এলাকায় নিয়মিত খাদ্যসামগ্রী দান করব।