আমাদের ভারত, ৩০ এপ্রিল: অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনের পর প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে এলেন যোগী আদিত্যনাথ। মঙ্গলবার বাংলায় তিনটি সভা ছিল যোগীর। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বাংলায় এসে তৃণমূলকে একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ শানান উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতির সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের তুলনাও টানেন। প্রশ্ন তোলেন কেন বাংলায় রামনবমীতে হিংসা বাধানোর অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না?
তবে যোগী যে শুধু তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তেমনটা নয়। বরং বাংলার পিছিয়ে পড়ার জন্য কংগ্রেস ও সিপিএম’কেও দায়ী করেছেন। যোগীর আজকের প্রথম সভা ছিল বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নির্মল কুমার সাহা সমর্থনে। তারপর সেখান থেকে বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য’র সমর্থনে সভা করেন। দুই জায়গা থেকে রামনবমীকে কেন্দ্র করে ঘটা অশান্তি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন যোগী। এবারের রামনবমীতেও রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। তবে শুধু রাম নবমী নয়, এরাজ্যে নানা সময় ঘটা অশান্তির অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন যোগী। উত্তর প্রদেশের সঙ্গে তুলনা টেনে তাঁর মন্তব্য, এই ধরণের ঘটনা যদি তার রাজ্যে হতো তবে অভিযুক্তদের উল্টো করে ঝুলিয়ে দেওয়া হতো। তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতো। এমন ব্যবস্থা করা হতো যাতে অভিযুক্তদের ৭ প্রজন্ম অশান্তি করার কথা ভুলে যেতে হতো। যোগীর প্রশ্ন বাংলায় কেন অশান্তি হয়? সরকার উত্তর দিক।
যোগীর এই মন্তব্যের মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছায়া দেখতে পাচ্ছেন অনেকেই। ইদানিং অমিত শাহও বাংলায় প্রচারে এসে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখার নিদান দিয়েছিলেন। যোগীও একই দাবি করেছেন।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস সোনার বাংলাকে ভ্রষ্টাচারের বাংলায় পরিণত করেছে। এই মাটিকে শোষণ করছে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল। মা দুর্গার শক্তির মাটিতে দুর্বৃত্তদের প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তার অভিযোগ, কংগ্রেস ও কমিউনিস্টরা পিছিয়ে পড়া মানুষের সঙ্গে মুসলিমদের সংরক্ষণ দিতে চায়। বিজেপি বারবার তার বিরোধিতা করেছে। এই বাংলাও এর বিরোধিতা করবে তো? প্রশ্ন তোলেন যোগী। তিনি বলেন, সুরক্ষিত বাংলা চাইলে বিজেপির বিকল্প নেই। উত্তরপ্রদেশে শুধু রাম মন্দির আছে তা নয়। উত্তর প্রদেশে মাফিয়াদের রাম নাম সত্য করে দেওয়া হয়েছে।
Very Very good speech, thanks sir