আমাদের ভারত, কলকাতা, ১০ ফেব্রুয়ারি: “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পোষাকবিধি অমান্য করে কোনো ধর্মীয় পোষাকের ফতোয়া জারি করা কিভাবে সমর্থনযোগ্য হতে পারে? হিজাব বিতর্কে প্রশ্ন তুললেন (অবসর প্রাপ্ত) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ভগীরথ দে।
তিনি বলেন, “এরপর ওই ছাত্রী যখন সামরিক বাহিনীতে যোগদান করে ওই অধিকার দাবী করবে, তখন বাহিনীর শৃঙ্খলা রক্ষা করতে বিদেশি অর্থে পুষ্ঠ মানবাধিকার সংগঠনগুলো এগিয়ে আসবে তো?
হিন্দু অনুশাসন মেনে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যদি ত্রিশূল হাতে রাস্তায় নেমে পড়ে, তাহলে আইনশৃঙ্খলার কী হবে? আসলে এই সব করে ভারতীয় সংবিধানের আসল ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রটিকেই সংকটে ফেলা হচ্ছে। সহনশীলতার সীমা ছাড়িয়ে যাতে অশান্তি সৃষ্টি না হয়, তা দেখাটাই আমাদের কর্তব্য।
ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার যে কোনও বিধি বা সংস্কার করার সময় এটা যুক্তিসম্মত যে, কোনও ধর্মীয় অনুশাসন তা সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সংখ্যালঘু যাই হোক না কেন, সেটি যেন কোনও ভাবে সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতার মূল আদর্শকে আঘাত না করে। কর্নাটকের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ঠিক ওই আদর্শ রক্ষা করতেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে যা সময়োপযোগী ও যথাযথ বলেই আমার মনে হয়েছে।”