Sukanta, Ganga Sagar, গঙ্গা সাগরকে জাতীয় মেলা করতে হলে রাজ্যকে পদ্ধতি মেনে কেন্দ্রীয় সরকারকে বলতে হবে, মমতাকে জবাব সুকান্তর

আমাদের ভারত, ১৪ জানুয়ারি: মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে স্নান করার পর কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একই সঙ্গে গঙ্গা সাগরে স্নানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। গঙ্গাসাগরে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে তোলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের জবাব দেন তিনি। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সাহায্য পেতে গেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লিখিত আকারে জানাতে হবে।

মকর সংক্রান্তির পুন্যলগ্নে গঙ্গাসাগরে এক নম্বর স্নানঘাটে স্নান করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু বিজেপি নেতৃত্ব ছিলেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে স্নান করেন সুকান্ত মজুমদার। স্নান করার পর বেশ কিছুক্ষণ ধামসা বাজাতে দেখা যায় তাকে। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। গঙ্গাসাগর নিয়ে প্রতিবারই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেলা উদ্বোধনে গিয়ে এবারেও একই অভিযোগ শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে সাহায্য পেতে গেলে তো প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হবে। তাঁর কথায়, মেলা করা এবং মলম বেচা সমান নয়। দশ টাকা, দশ টাকা করে চেঁচালে মেলা হয়ে যাবে না। এই মেলাটিকে যদি জাতীয় স্তরের মেলা করতে হয়, যেমন কুম্ভ মেলায় যে পার্টির সরকারই হোক, রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার মিলে মেলা করেন। এখানেও রাজ্য সরকারকে কেন্দ্র সরকারকে লিখিতভাবে জানাতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে যুক্ত করতে হবে এবং মন বড় করতে হবে। রাজ্যের মন্ত্রীদের গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে হবে। তিনি বলেন, প্রয়োজন পড়লে এই মেলার জন্য তিনিও যেতে রাজি। সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন তোলেন, এই মেলাতে একটাও কি প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেখা গেছে। যে মেলায় প্রধানমন্ত্রীর ছবির ঠাঁই নেই সেই মেলা জাতীয় স্বীকৃতি কী করে পাবে?

একই সঙ্গে ড্রেসিং করানো নিয়ে রাজ্যের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। ড্রেজিং নিয়ে রাজ্যের দাবিকে ভুল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের যে অভিযোগ উঠেছে তার প্রতিবাদেও আরো একবার সরব হন তিনি। জানান, এই নিয়ে ভারত সরকার সহ সকলে বারবার প্রতিবাদ করেছে। অন্যদিকে রাজ্যের তৃণমূল পরিচালিত সরকারের কাজ শুধু জঙ্গিদের বাংলায় অনুপ্রবেশে সাহায্য করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *