আমাদের ভারত, ২ জুলাই: ধর্মান্তকরণ বন্ধ না করলে একদিন সংখ্যাগুরু হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে যাবে। ক্রমবর্ধমান ধর্মান্তকরণের ঘটনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালত বলেছে এই জিনিস চলতে থাকলে দেশে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় হিন্দুরা, একদিন সংখ্যায় লঘুতে পরিণত হবে।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগারওয়াল কৈলাস নামে এক ব্যক্তির জামিনের আবেদন খারিজ করে এই মন্তব্য করেন। কৈলাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গ্রামের একদল হিন্দুকে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করেছে। এই বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ হলো, এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে দেওয়া হলে একদিন সংখ্যাগুরুরা সংখ্যা লঘু হয়ে যাবে। এই ধরনের ধর্মান্তকরণ এই মুহূর্তে বন্ধ করা উচিত।
ধর্মীয় সমাবেশে ধর্মান্তরিত করার কাজ অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। স্পষ্ট ভাষায় আদালত জানিয়েছে সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারা মোতাবেক ধর্মাচরণের অধিকার লঙ্ঘন করে এই কাজ। সংবিধানের স্বাধীন ধর্মাচরনের অধিকারের কথা বলা আছে। কোনো ব্যক্তি যে কোনো ধর্ম, ঈশ্বরের ভজনা সাধনা করতে পারেন। এমনকি শর্তসাপেক্ষভাবে নিজ ধর্মমত প্রচার করতে পারেন।
হাইকোর্ট স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে, ধর্ম প্রচারের অর্থ হচ্ছে নিজের ধর্মকে অন্যের ধর্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু অন্য কাউকে নিজের ধর্মে ধর্মান্তরিত করা নয়। আদালতের মতে মানুষের দারিদ্রতা সুযোগ নিয়ে উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন গ্রামে হিন্দুদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করার কাজ চলছে।
হামিদপুর জেলায় মৌদহ গ্রামে কৈলাসের বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগকে গুরুতর অভিযোগ বলে বর্ণনা করেছেন বিচারপতি আগারওয়াল। রাম কলি প্রজাপতি নামে এক ব্যক্তি কৈলাসের বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কৈলাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত একটি ধর্ম সভায় গ্রামের সকলকে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং সেখানে তাদেরকে খ্রিস্ট ধর্মের দীক্ষিত করা হয়। এফআইআর অনুসারে প্রজাপতির মানসিক অসুস্থ ভাইকেও টাকা পয়সা দিয়ে ধর্মান্তরিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।